দুর্নীতি তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রতিনিধি

প্রতিনিধি, পীরগঞ্জ (রংপুর): রংপুরের পীরগঞ্জে জমি আছে ঘর নেই আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি সরেজমিনে তদন্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলীসহ রংপুর জেলা প্রশাসকের একটি প্রতিনিধিদল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বুধবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদের সঙ্গে বৈঠক শেষে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের এ অনিয়ম তদন্ত করেন।
জানা গেছে, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় এ বছর উপজেলায় প্রথম পর্বে ২২৫টি ঘর নির্মাণের বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে কাবিলপুর ইউনিয়নের হলদিবাড়ীর মধ্যপাড়া গ্রামের মৃত শাখাওয়াতের বিধবা স্ত্রী ফাতেমা বেগম ও একই গ্রামের শুকুর উদ্দিনের মেয়ে মমেনা বেগমের (স্বামী পরিত্যক্তা) নামে দুটি ঘর বরাদ্দ হয়। শিডিউল মতে ১৭৫ বর্গফুট আয়তনের মূল টিনের ঘরে ১২টি পিলার, বারান্দায় পাঁচটি এবং ল্যাট্রিনে চারটিসহ ঘর নির্মাণে এক লাখ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়।
ঘর নির্মাণের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকল্প কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিএমএ মমিন প্রকল্প বাস্তবায়নে তার পূর্বের কর্মস্থল দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা থেকে ৫৬ জন মিস্ত্রি-লেবারকে ঠিকাচুক্তি দেন। মিস্ত্রি শফিকুল ইসলাম কোনো ধরনের ঢালাই ছাড়াই পিলার স্থাপন করেন। মেঝেতে তিন ইঞ্চি ঢালাই দেওয়ার কথা থাকলেও দেড় বস্তা সিমেন্ট দিয়ে মাত্র এক ইঞ্চি ঢালাই দেওয়ার সময় ইউপি সদস্য আহসান হাবিবসহ এলাকাবাসী বাধা দেন।
এ অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ দৈনিক শেয়ার বিজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারুল আলম, মনিটরিং কর্মকর্তা আবু হেনা মোস্তফা কামাল, উপসহকারী প্রকৌশলী তমিজ উদ্দিন ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি এডিসি (রাজস্ব) শরিফ মোহাম্মদ ফয়জুল আলম তদন্ত করেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহারুল আলম জানান, তারা কাজের গুণগত মান ও অগ্রগতি দেখতে এসেছেন। কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন।