দুর্নীতি বন্ধ করতে পারিনি, ভয় দেখাতে পেরেছি: দুদক কমিশনার

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলেও দুর্নীতিবাজদের ভয় দেখাতে পেরেছেন বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার জহুরুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা দেশ থেকে দুর্নীতি পুরোপুরি বন্ধ করতে পারিনি। তবে দুর্নীতিবাজদের ভয় দেখাতে পেরেছি। আমরা চেষ্টা করছি, যাতে দেশে দুর্নীতির বিস্তার না ঘটে।’ গতকাল দুপুরে সেগুনবাগিচার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

জহুরুল হক বলেন, ‘দুর্নীতি-বিষয়ক যত পুরোনো মামলা আদালতে পেন্ডিং আছে, সেসব মামলা আগামী দুই-এক বছরের মধ্যে নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’

দুদকের এই কমিশনার বলেন, ‘কক্সবাজারে তিন হাজার ৭০০ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। এই উন্নয়ন প্রকল্পে যাতে কোনো দুর্নীতি না হয়, সেজন্য আমরা সজাগ আছি। আমরা কক্সবাজারে অফিস চালু করেছি। আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশের ১৪টি জেলায় দুদকের জেলা কার্যালয় চালু করা হবে। বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, গাজীপুর, জামালপুর, নেত্রকোনা, লালমনিরহাট, চাঁদপুর ও পিরোজপুর জেলায় কার্যালয় চালু করা হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষের কাছাকাছি পৌঁছানোর চেষ্টা করছি, যাতে সাধারণ মানুষ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সহজেই দুদকের কাছে অভিযোগ জানাতে পারে।’

দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতি দমন ব্যুরোর আমলে ২০০৯ সালে  উচ্চ আদালতে স্থগিত মামলার সংখ্যা ছিল ২৯৭টি। ২০১৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪০৪টি। পরে ২০২০ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ২০২টিতে। এছাড়া ব্যুরোর আমলের বিচারাধীন মামলার সংখ্যা ৪৫১টি ও চলমান মামলার সংখ্যা ২৪৯টি। এর মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ১০ জনের, আর ১১ জন খালাস পেয়েছেন।

দুদক সূত্র জানায়, দুদক গঠিত হওয়ার পর ২০২০ সালে বিচারাধীন মামলা ছিল মোট দুই হাজার ৯৩১টি। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৭৮০টি। ২০২০ সালে চলমান মামলার সংখ্যা দুই হাজার ৬৩১টি এবং উচ্চ আদালতে স্থগিত মামলার সংখ্যা ২৩৪টি। ২০০৯ সালে স্থগিত মামলার সংখ্যা ছিল মাত্র ৭৯টি। পরিসংখ্যান বলছে, ১১ বছরে মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ১৫৫টি। সাজা পেয়েছেন ১১১ জন এবং খালাস পেয়েছেন ৪৪ জন। ফলে প্রতি বছর শুধু মামলার পাহাড় জমছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০