শেয়ার বিজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ব্যাপারে চসিকের কঠোর অবস্থানের কথা উল্লেখ করে বলেন, যে যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের তিল পরিমাণ ছাড় দেয়ার অবকাশ নেই। এখন বর্ষা মৌসুম শেষ। অতিবৃষ্টির কারণে নগরীর যে রাস্তাগুলো সংস্কার ও মেরামতের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল, তা এখন থেকে শিগগির সম্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের নির্দেশ দেন। গতকাল নগরীর বিমানবন্দর সড়ক থেকে লিংক রোড হয়ে হালিশহর পর্যন্ত রাস্তার চলমান সংস্কার ও মেরামত কাজ পরিদর্শন করতে গিয়ে এ নির্দেশনা দেন মেয়র।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের কনটেইনার বা পণ্যবাহী যানগুলো চলাচল করার কারণে যে সড়কগুলো নষ্ট হয়েছে, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা প্রয়োজন। তিনি এসব রাস্তা সংস্কারের ব্যাপারে বন্দরসহ অন্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চসিক কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরও বলেন, নগরীতে চসিকের যেসব খালি জায়গা রয়েছে এবং যেসব খাল ও নালা অবৈধ দখলদারদের আয়ত্তে আছে তা সিএস ও আরএস খতিয়ানের আলোকে এগুলো উদ্ধারে এখন থেকে জোরালোভাবে কাজ শুরু করা হবে। তিনি এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে জানান।
তিনি নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার উদ্দেশে বলেন, এতদিন বর্ষা মৌসুমের কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অসুবিধা থাকলেও বর্তমানে বৃষ্টিজনিত কারণে সমস্যা হওয়ার আর কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই জলাবদ্ধতা নিরসনে এ সময়কে কাজে লাগিয়ে আগামী বর্ষা মৌসুমে যেন নগরবাসীদের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে না হয়, সে ব্যাপারে আন্তরিক হওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন, মনিরুল হুদা, আবু সালেহ, নির্বাহী প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, আশিকুল ইসলাম, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।