নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, উপকূল সুরক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে। তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে আর ত্রাণভিত্তিক কার্যক্রমে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আমরা দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে উপকূল ফাউন্ডেশন ও এডুএইড আয়োজিত ‘ভয়াল ১২ নভেম্বর: টেকসই উপকূল ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাই না, কোনো ধরনের দুর্যোগে দেশের মানুষের মৃত্যু ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি হোক, যদিও হয়ে থাকে তাহলে আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য-সহযোগিতা করব। আমরা দেশকে একটি দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। দুর্যোগ মোকাবিলা করে অনেকটাই আমরা দুর্যোগ সহনীয় রাষ্ট্রের দিকে এগোচ্ছি। ভূমিকম্প সহনীয় রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য আমরা জাপানের সঙ্গে যৌথভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।’
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তঃমন্ত্রণালয় মিটিংয়ে আমরা টেকসই ঘরবাড়ি নির্মাণের বিষয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের গৃহহীনদের জন্য আমরা দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরি করে দিয়েছি। ১১ হাজার ৬০৪টি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। ২৩ হাজার ঘর নির্মাণ কাজ চলছে। আগামীতে আরও তিন লাখ ঘর নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিন কোটি ঘর নির্মাণ করতে হবে। কারণ আমাদের তিন কোটি উপকূলের মানুষ ঝুঁকিপূর্ণ ঘরে বসবাস করছে। উপকূলীয় ৯টি জেলায় চারতলা করে বিল্ডিং করা হবে। এ বিল্ডিংগুলোর নিচতলায় ফাঁকা থাকবে। দুর্যোগে এ বিল্ডিংগুলোই আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে কাজ করবে।’
গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতেই উপকূল ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ক এম আমিরুল হক পারভেজ লিখিত বক্তব্য রাষ্ট্রীয়ভাবে ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ হিসেবে ঘোষণাসহ আট দফা দাবি তুলে ধরেন।
গোলটেবিল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের মহাপরিচালক নিখিল রঞ্জন রায়, সাবেক কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সুলতান আহমেদ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (প্রশাসন) অতিরিক্ত সচিব মো. জহুরুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব, অধ্যাপক ড. নূরুল ইসলাম নাজেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরীন, বুয়েটের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসান এ. শাফী, কবি ও সাংবাদিক নাসির আহমেদ প্রমুখ।