দূতাবাসের হস্তক্ষেপে জর্ডানে বকেয়া বেতন পেলেন ৪৫৪ বাংলাদেশি

শেয়ার বিজ ডেস্ক: জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় আছিল গার্মেন্টসে কর্মরত ৪৫৪ জন বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের বকেয়া বেতন ও সোশ্যাল সিকিউরিটির টাকা বুঝে পেয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মানের প্রথম সচিব (শ্রম) উম্মে সালমার উপস্থিতিতে গেল মঙ্গলবার জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশি শ্রমিকদের হাতে বকেয়া বেতন ও সোশ্যাল সিকিউরিটির অর্থ তুলে দেন।

উম্মে সালমা বলেন, জর্ডান শ্রম মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, আগামী (আজ) শনিবার থেকে শ্রমিকদের বাংলাদেশে পাঠানো শুরু হবে। তাদের বিমান টিকিট জর্ডানের শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে সরবরাহ করা হবে।

তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি-দাওয়া আদায়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে শুরু থেকেই অবহিত করা হয়েছে। অবশেষে আমরা সফল হয়েছি। জর্ডান শ্রম মন্ত্রণালয়, আইএলও, ট্রেড ইউনিয়নসহ যেসব সংস্থা ও কোম্পানি এ সমস্যা সমাধানে দূতাবাসকে সহযোগিতা করেছে তাদের সবাইকে অশেষ ধন্যবাদ।

আছিল গার্মেন্টসের মেশিন অপারেটর মো. মোতাহার বলেন, আমি ৬ মাসের বকেয়া বেতনসহ ৫ বছরের লিভের টাকা পেয়েছি। সোশ্যাল সিকিউরিটির টাকাও পেয়েছি। আমাদের সব দাবি পূরণ হয়েছে।

উল্লেখ্য, কভিড-পরবর্তী সময়ে আছিল গার্মেন্টস বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে আছিল গার্মেন্টসে কর্মরত শ্রমিকরা নানা ধরনের অভিযোগ ও অনিয়ম সম্পর্কে দূতাবাসকে অবহিত করে। দূতাবাস আছিল গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে এবং জর্ডান শ্রম মন্ত্রণালয় ও ট্রেড ইউনিয়নকে জানায়। পরে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান ও নানা রকম অনিয়ম দুর্নীতির জন্য ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে কোম্পানিটি লে অফ ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকেই শ্রমিকদের বকেয়া বেতন, ওয়ার্ক পারমিট, পাসপোর্ট নবায়ন এবং গারামা মওকুফের জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কল্যাণ উইং।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০