নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম ওয়াসা দেড় বছরের ব্যবধানে পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। এতে নতুন দর অনুযায়ী প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৩ টাকা দুই পয়সা ও অনাবাসিক গ্রাহকদের ৩১ টাকা ৮২ পয়সা ব্যয় করতে হবে। গতকাল চট্টগ্রাম ওয়াসার ৬৪তম বোর্ড সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরে ৭০ লাখের বেশি লোকের বসবাস। এসব জনগোষ্ঠীর পানির চাহিদা দৈনিক ৪২ কোটি লিটার। এর বিপরীতে চট্টগ্রাম ওয়াসা সরবরাহ করতে পারে প্রায় ৩৬ কোটি লিটার। অর্থাৎ প্রায় ১৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী ওয়াসা সেবা থেকে বঞ্চিত।
অন্যদিকে ওয়াসার সরবরাহ লাইনে ত্রুটি ও জটিলতার কারণে সরবরাহ করা পানির ৩০ শতাংশ গ্রাহককের কাছে পৌঁছায় না। এর আর্থিক মূল্য প্রায় ৩৫ কোটি টাকা, যা সংস্থাটির পদ্ধতিগত লোকসান হিসেবে দেখানো হয়। আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে এ ধরনের লোকসান। এ কারণে বাড়ছে প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন খরচ।
বর্তমানে প্রতি ইউনিট উৎপাদন খরচ ১৪ টাকা ৬৫ পয়সা। আর গড়ে বিক্রি ১৩ টাকা ৯৮ পয়সা। এতে লোকসান ৬৭ পয়সা। এসব বিবেচনায় চট্টগ্রাম ওয়াসা দেড় বছরের ব্যবধানে পানির দাম আবার পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালে ৯ আগস্ট পানির দাম প্রায় ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠায় ওয়াসা। কিন্তু মন্ত্রণালয় রাজি না হওয়ায় গত বছর ১ মার্চ দ্বিতীয় দফা পানির দাম পুনর্নির্ধারণ করে। সে অনুযায়ী আবাসিক ক্ষেত্রে পানির দাম ছিল ১২ টাকা ৪০ পয়সা ও অনাবাসি ক্ষেত্রে ৩০ টাকা ৩০ পয়সা।
এ বিষয়ে এমডি প্রকৌশলী একেএম ফয়জুল্লাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। পরে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাহেরা ফেরদৌস বেগম বলেন, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন-১৯৬৬-এর ২২(২) ধারা অনুযায়ী পানির ইউনিটপ্রতি দর পাঁচ শতাংশ বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসার। সে অনুযায়ী পানির নতুন দর নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বাণিজ্যিক বিভাগের দায়িত্বশীলরা ভালো বলতে পারবেন।