মীর কামরুজ্জামান মনি, যশোর: যশোর পৌরসভার ১০০ অস্থায়ী কর্মচারীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। পৌরসভার দেনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে জনবল হ্রাস কর্মসূচির আওতায় তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ছাঁটাই কর্মচারীদের মধ্যে মাস্টাররোলের ৪২ জন ছাড়াও ৫৮ জন ঝাড়–দার রয়েছেন।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, যশোর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ ৯০ কোটি টাকার বেশি দেনা নিয়ে এপ্রিলে দায়িত্ব বুঝে নেন। পৌরসভায় বর্তমানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে যে জনবল রয়েছে তাদের মাসিক বেতন-ভাতা কোটি টাকার মতো। বিপুল পরিমাণ এ বেতন ভাতা পৌরসভার আয় অনুযায়ী বহন করা কষ্টসাধ্য বলে দায়িত্ব নেয়ার সময় মেয়র জানিয়েছিলেন।
তিনি জানান, পৌরসভার বিশাল অঙ্কের দায় তিনি তার আমলে মিটিয়ে যাবেন। এর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ব্যয় সংকোচন নীতি অবলম্বন করেন। সে সময় তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, অস্থায়ী ও মাস্টাররোলের কর্মচারী কমিয়ে ফেলবেন। সে অনুসারে গত মাসে মাস্টাররোলে কর্মরত ৪২ জন কর্মচারীকে ছাঁটাই করেন। তাদের বেতন সাড়ে চার হাজার থেকে ছয় হাজার টাকা।
অন্য একটি সূত্র মতে, সদ্য বিদায়ী মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু, দায়িত্ব হস্তান্তরের মাসখানেক আগে মাস্টাররোলে ৪৫ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে যান। নতুন মেয়র এসে তাদের মধ্য থেকে ৪২ জনকে চাকরিচ্যুত করেছেন।
সদ্যবিদায়ী মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টু তার আগে দায়িত্ব পালন করা মেয়র মারুফুল ইসলাম দায়িত্ব ছাড়ার পর পরই তার নিয়োগ দেয়া ৪০ থেকে ৪৫ জন কর্মীকেও চাকরিচ্যুত করেছিলেন।
এদিকে, বর্তমান মেয়র হায়দার গনি খান পলাশ মাস্টাররোলের ৪২ জন ছাড়াও ৫৮ জন ঝাড়–দার পদের কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন। এ ঝাড়–দাররা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৪টা পর্যন্ত শহরের রাস্তাঘাট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতেন। দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে কাজ করা ঝাড়ুদারের কারণে শহরে দিনের বেলায় রাস্তায় ময়লার স্তূপ হতো না। মাস্টাররোলের ৪২ জন ও ঝাড়–দার শ্রেণির ৫৮ জনকে ছাঁটাই করায় যশোর পৌরসভার মাসিক বেতন-ভাতা খাতে চার লাখের বেশি টাকা সাশ্রয় হবে বলে পৌরসচিব মো. আজমল হোসেন জানান।
এ বিষয়ে মেয়র হায়দার গনি খান জানান, ওই দুই পদের অস্থায়ী জনবল কমানো হয়েছে। পৌরসভার বিধান অনুযায়ী, যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় জনবল অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ করা যায়। সুতরাং ভবিষ্যতে শহরকে সুন্দর ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার জন্য আবারও এ জাতীয় জনবল বাড়ানো হবে।