নিজস্ব প্রতিবেদক : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশকে তলানিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ কিছু মানুষ রাজনীতি করছে। তারা রিজার্ভসহ বিভিন্ন বিষয়ে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। আপনারা জানেন, একটি দেশের তিন মাসের মতো রিজার্ভ থাকাটা সন্তোষজনক। আমাদের তার চেয়ে বেশিই আছে। গতকাল প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক ইত্তেফাক আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিপিং খাত-বাস্তবতা ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে রাজনৈতিক খেলায় অবতীর্ণ হয়েছি, যা আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। বাংলাদেশের মানুষ এখনও তিন বেলা খেয়ে আছে। ঢাকায় প্রতিদিনই মানুষ ঢুকছে। অর্থাৎ মানুষ এখনও ভালোভাবেই রয়েছে। কোভিডের সময় সব কিছু বসে গেলেও একমাত্র সক্রিয় ছিল সরকার। করোনার সময় সরকার যেভাবে অর্থনীতিকে আগলে রেখেছে, সেটা প্রশংসার দাবিদার।
তিনি বলেন, কিছুদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল ও ৮টি জলযান উদ্বোধন করেছেন। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে আপনারা পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে পারবেন। ৬-৭শ কোটি টাকা ব্যয়ে আন্ধারমানিক নদীর ওপরে অত্যাধুনিক চার লেনের সেতু হচ্ছে। উন্নত দেশগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চাইছে। আমাদের দেশে সবক্ষেত্রে এখন স্কিলড লোক তৈরি হয়ে গেছে।
আমাদের সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারও সেই কথা বলছে। ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হলে সরকার তাতে পদক্ষেপ নেবে। আমরা চাই চট্টগ্রাম বন্দর, পায়রা বন্দর ও মোংলা বন্দর দিয়ে পণ্যগুলো ওয়াটারওয়ে হয়ে আসুক। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাছাড়া মুক্তারপুর, কুমুদীনিতে টার্মিনাল তৈরি করা হয়েছে। খানপুরে টার্মিনাল তৈরির বিষয়ে টেন্ডার দেয়া হয়েছে।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ শাহজাহান, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ, বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।
বাংলাদেশের শিপিং খাতের বিষয়ে আয়োজিত বৈঠকে বেশ কয়েকটি ইস্যু তুলে ধরা হয়েছে। সেগুলো হলোÑরেমিট্যান্স ইস্যু, বিএসএএ কমিশন পুনর্নির্ধারণ ইস্যু, বিল অব লেডিং ইস্যু, মিস ডিক্লেরেশন ইস্যু, বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট লাইসেন্সিং ইস্যু, বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত ইস্যু।