নিজস্ব প্রতিবেদক: গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান অটো-১ ও কন্টিনেন্টাল মটরসের বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণায় শুল্ক ফাঁকি ও চোরাচালানের মাধ্যমে গাড়ি আমদানি করে অর্থ পাচারের অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী দেওয়ান সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। একই সঙ্গে তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন পুলিশকে চিঠি দিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, মিথ্যা ঘোষণায় বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির আড়ালে অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দেওয়ান সাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে ধানমন্ডি থানায় মামলা করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। তিনি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানির আড়ালে প্রায় দুই কোটি টাকা পাচার করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। বিলাবহুল গাড়িতে আরও সাড়ে ১৫ কোটি টাকার করফাঁকির অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. সহিদুল ইসলাম বলেন, দেওয়ান সাজেদুর রহমানকে তলব করা হলেও তিনি হাজির হননি। তিনি দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। সে জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘোষণায় গাড়ি আমদানিতে শুল্ককর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অনেক গাড়ি আমদানিতে তিনি শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছেন। এসব বিষয় যাচাই করতে তাকে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি হাজির হননি।
সূত্র জানায়, দেওয়ান সাজেদুর রহমান মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে একটি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছেন। গাড়িটি আমদানিতে শুল্ক ফাঁকি দেওয়া হয়েছে ১৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। সাজেদুর রহমান রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিকারকদের সংগঠন বারবিডার সদস্য। তার ঠিকানা তুরাগের ধউর এলাকায়। তিনি ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার বাসিন্দা। মিথ্যা ঘোষণার মাধ্যমে কম ইঞ্জিন ক্ষমতার অডি টিটিআই মডেলের পরিবর্তে অডিআর-৮ আমদানি করে অতিরিক্ত এক কোটি ৭৯ লাখ টাকা অবৈধ পন্থায় বিদেশে পরিশোধ করেছেন। কম সিসি ঘোষণা দিয়ে উচ্চ সিসির গাড়িটি খালাস করায় শুল্ক ফাঁকি হয়েছে প্রায় সাড়ে ১৫ কোটি টাকা। বনানীর একটি শোরুম থেকে গাড়িটি জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দা। গাড়িটির আমদানি শুল্ক পরিশোধ করা হয় ২৫০০ সিসি হিসেবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে চেসিস যাচাইয়ে পাওয়া যায় ৫২০০ সিসি। গাড়িটি জার্মানির তৈরি। ২০১৩ সালে যুক্তরাজ্য থেকে আমদানি করা হয় নতুন হিসেবে। আমদানিনীতি আদেশ অনুযায়ী, এক দেশের গাড়ি পুরোনো হিসেবে অন্য দেশ দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ। আদালতে প্রমাণ হলে চার থেকে ১২ বছরের জেল ও জরিমানা হতে পারে।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা কন্টিনেন্টাল মটরস স্বত্বাধিকারীর
