Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 2:32 am

দেশি পোশাকের সম্ভার নিয়ে কৃষ্টি বুটিকস

নিজেকে দেশি কাপড়ের মোড়কে মোড়াতে কে না চায়? পোশাকে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও ইতিহাস। আর পোশাকসচেতন বাঙালির রুচির সঙ্গে মিল রেখে চট্টগ্রামের দেশীয় কাপড় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কৃষ্টি বুটিকস ঈদ সামনে রেখে বুনন আর নকশায় এনেছে নতুনত্ব ও আধুনিকতা। চট্টগ্রামের অন্যতম অভিজাত বিপণিবিতান আফমি প্লাজার তৃতীয় তলায় গেলেই দেখা মিলবে দেশি কাপড় বিক্রির অন্যতম এ প্রতিষ্ঠানটির।
কৃষ্টি বুটিকস সূত্রে জানা যায়, মসলিন শাড়ি, সিল্ক মসলিন, সিল্ক মসলিন ড্রেস, কটন শাড়ি, কটনের থ্রিপিস, বেডকভার, বাহারি ডিজাইনের মনকাড়া ছোট-বড় কাঁথা, শিশুদের পোশাক, পাঞ্জাবি, হিজাব, শাল, ওয়ান পিস, টু পিসসহ সব ধরনের পোশাকের সম্ভার নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি হাজির হয়েছে ক্রেতাসাধারণের জন্য। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা তরুণ উদ্যোক্তা ও ফ্যাশন ডিজাইনার নূজহাত নূয়েরী কৃষ্টির হাত ধরে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটি প্রায় অর্ধযুগ ধরে ক্রেতার বিশ্বাসযোগ্যতা ও আস্থা অর্জন করেছে। ফলে বিদেশি পোশাক বাদ দিয়ে সচেতন ও রুচিশীল ক্রেতারা সমান তালে পাল্লা দিয়ে ছুটছেন এ বুটিকস হাউজে। দেশি কাপড় ও বুননে তৈরি বাহারি ও আকর্ষণীয় পোশাক কিনতে প্রতিদিন ভিড় করছেন রুচিশীল ক্রেতারা। দামে মিললেই কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পেশাকটি।
প্রতিষ্ঠানটির বিক্রয়কর্মীরা বলেন, এখানে সিল্ক মসলিন ড্রেস, কটন শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে চার থেকে শুরু করে সাড়ে ছয় হাজার টাকায়, কটনের থ্রিপিস পাবেন দুই হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায়। মসলিন শাড়ি ১৪ হাজার ৫০০ টাকা, সিল্ক মসলিনও একই দামে পাওয়া যাচ্ছে। বেডকাভার দুই হাজার ২৫০ টাকা, ধরনভেদে পাঞ্জাবির দাম এক হাজার ৬০০ থেকে দুই হাজার টাকা। ব্লাউজ পিস এক হাজার ৫৫০ টাকা। হাতের কাজ করা বাহারি ডিজাইনের বড় কাঁথার দাম পাঁচ হাজার টাকা, বেবিকাঁথা পাওয়া যায় ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়, ওয়ান পিস এক হাজার ৪৫০ টাকা, টু পিস এক হাজার ৯৫০ টাকায়। শিশুদের পোশাক ৪৫০ থেকে এক হাজার ২৫০ টাকা। হিজাব ৫৫০ থেকে ৬৫০ টাকা। শাল পাওয়া যাবে এক হাজার ৮৫০ টাকায়।
নূজহাত নূয়েরী কৃষ্টি বলেন, পোশাকের ডিজাইন-নকশা সবকিছুই ঈদকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত। এবার ঈদে বর্ষা ও গরমের প্রভাব থাকবে। ফলে পোশাকে এনেছি ভিন্নতা। আর ঈদ আমাদের বড় উৎসব। ঈদপোশাক মানেই আকর্ষণীয় পোশাক। এ বিষয়টি মাথায় রেখে অনেক আগেই কাজ শুরু করেছি। যদিও সব বয়সের মানুষের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে কাজ করি। ক্রেতার পছন্দসই পোশাক তৈরি করে দেওয়ার মধ্যেই রয়েছে একজন ডিজাইনারের কাজের সৌন্দর্য ও বিশিষ্টতা। একজন ডিজাইনারের লক্ষ্য থাকে, গ্রাহকের রুচি ও চাহিদা অনুযায়ী পোশাক তৈরি। আর নিজের তৈরি পোশাক যখন একজন গ্রাহক সন্তুষ্টচিত্তে কিনে নিয়ে যায়, তখন ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে সার্থক মনে হয়।