দেশীয় ২৩ কোম্পানির পকেটে ৯৫ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা

বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংখ্যা প্রতি বছর বাড়লেও বড় অংশই বসে থাকছে। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই শুধু ক্যাপাসিটি চার্জ থেকে প্রচুর আয় করেছে বিনিয়োগকারী কোম্পানিগুলো। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নতুন করে আলোচনায় আসে ক্যাপাসিটি চার্জ। তাই ১৫ বছরে এ খাতে সরকারের ব্যয় ও কোম্পানিগুলোর আয় তুলে ধরেছে শেয়ার বিজ। এ নিয়ে ধারাবাহিক আয়োজনের আজ ছাপা হচ্ছে দ্বিতীয় পর্ব

ইসমাইল আলী: বিদ্যুৎ উৎপাদনে বেসরকারি খাতের ওপর নির্ভরশীলতা গত দেড় দশকে কয়েক গুণ বেড়েছে। এ সময় দেশি বেশকিছু কোম্পানি এ খাতে বড় বিনিয়োগ করেছে। এতে বিদ্যুৎ খাত গুটিকয়েক করপোরেটের দখলে চলে গেছে। যদিও বেসরকারি কেন্দ্রগুলোর বড় অংশই নিয়মিত বসে থাকছে। তবুও এ খাতে প্রতি বছর বড় অঙ্কের ক্যাপাসিটি চার্জ গুনতে হচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি)।

সংস্থাটির হিসাব বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৯-১০ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত ১৫ বছরে পিডিবিকে ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয়েছে প্রায় এক লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে দেশীয় ২৩টি গ্রুপ/কোম্পানির পকেটে গেছে ৯৫ হাজার ৫৬১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অর্থাৎ দেশি এ গ্রুপ/কোম্পানিগুলো ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে এ খাতে মোট ব্যয়ের ৭১ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
পিডিবির তথ্যমতে, গত ১৫ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে শীর্ষে রয়েছে সামিট গ্রুপ। বর্তমানে গ্রুপটির আটটি কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনছে পিডিবি। এ আটটি কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ৯৮১ মেগাওয়াট। এর মধ্যে সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে ৫৮৯ মেগাওয়াটের দ্বৈত জ্বালানিভিত্তিক (গ্যাস/ডিজেল) মেঘনাঘাট-২ কম্বাইন্ড সাইকেল (সিসিপিপি) বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। গত অর্থবছর শেষ দিকে এটি উৎপাদনে আসে।

দেড় দশকে গ্রুপটি ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে ১৪ হাজার ৮৫৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। অর্থাৎ মোট ক্যাপাসিটি চার্জের ১১ শতাংশের বেশি একাই আদায় করেছে সামিট। এর বাইরেও কেপিসিএলের ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সামিটের কাছে, যার জন্য পৃথক ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে কোম্পানিটি।
তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ২৪৪ মেগাওয়াট। পায়রা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট উৎপাদন শুরু করে ২০২০ সালের ১৫ মে। ওই বছর ৮ ডিসেম্বর উৎপাদনে আসে দ্বিতীয় ইউনিটটি। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড (বিসিপিসিএল)। অর্থাৎ এর মালিকানা বাংলাদেশের একক নয়।

পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রটির যৌথ মালিকানায় রয়েছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনের ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন লিমিটেড (সিএমসি)। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে দুই কোম্পানি সমান ১০ শতাংশ হারে মোট ২০ শতাংশ বিনিয়োগ করেছে। বাকিটা চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। মাত্র তিন বছরেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে ১২ হাজার ৪২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, যা এ খাতে ব্যয়ের ৯ শতাংশের বেশি।

ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে তৃতীয় অবস্থানে দেশীয় ইউনাইটেড গ্রুপ। বর্তমানে এ গ্রুপটির সাতটি নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। তবে পাঁচটি থেকে পিডিবি সরাসরি বিদ্যুৎ কেনে। এজন্য ১৫ বছরে গ্রুপটি ১০ হাজার এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে, যা এ খাতে মোট ব্যয়ের সাড়ে সাত শতাংশ। তবে ইউনাইটেড গ্রুপের বাকি দুটি কেন্দ্র সরাসরি বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেপজা) কাছে বিদ্যুৎ বিক্রি করে। এজন্য কোনো ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয় না। এছাড়া গ্রুপটির কাছে কেপিসিএলের ৩৫ শতাংশ শেয়ার রয়েছে, যার জন্য পৃথক ক্যাপাসিটি চার্জ পায় তারা।

দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাংলা ক্যাট রয়েছে ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে চতুর্থ স্থানে। এ গ্রুপের এক সময় পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থাকলেও বর্তমানে মাত্র দুটি উৎপাদনে রয়েছে। বাকিগুলো গত দুই বছরে অবসরে গেছে। পাঁচটি কেন্দ্রের জন্য গ্রুপটি মোট ছয় হাজার ৩১২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে। এছাড়া প্যারামাউন্ট বি. ট্র্যাক ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৪৯ শতাংশ রয়েছে বাংলা ক্যাটের হাতে। এজন্য পৃথক ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে গ্রুপটি।

ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল)। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের মালিকানাধীন পাঁচটি সমিতির অধীনে গড়ে ওঠা এ কোম্পানিটির বর্তমানে চারটি বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে। এগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা ৩৯২ মেগাওয়াট। ১৫ বছরে এ কোম্পানির পকেটে গেছে পাঁচ হাজার ৯৯১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা ওরিয়ন গ্রুপের বর্তমানে পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। এর মধ্যে একটি সৌরবিদ্যুতের, যার জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ নেই। তবে একটি কেন্দ্র দুই বছর আগে অবসরে গেছে। এতে সব মিলিয়ে ওরিয়ন গ্রুপ দেড় দশকে মোট পাঁচ হাজার ৩৭৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে।

এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কেপিসিএলের (খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড) বর্তমানে দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। আরও একটি কেন্দ্র দুই বছর আগে অবসরে গেছে। সব মিলিয়ে এ কোম্পানিটি ১৫ বছরে ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে চার হাজার ৪৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। এতে কোম্পানিটি বর্তমানে ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ের তালিকায় সপ্তম স্থানে রয়েছে। এছাড়া পায়রায় ইউনাইটেড গ্রুপের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে কেপিসিএলের কাছে, যার জন্য পৃথক ক্যাপাসিটি চার্জ পায় কোম্পানিটি।

সামিট ও ইউনাইটেড গ্রুপের কাছে কোম্পানিটির সমান ৩৫ শতাংশ করে মোট ৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে। যদিও কেপিসিএলের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎকেন্দ্রটি অবসরে যাওয়ায় ও বাকি দুটির চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মাঝে দুই বছর বড় অঙ্কের লোকসান গুনেছে কোম্পানিটি। তবে বর্তমানে দুটি কেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেছে সরকার।
ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে অষ্টম অবস্থানে রয়েছে ডরিন গ্রুপ। এ গ্রুপটির অধীনে বর্তমানে বিদ্যুৎকেন্দ্র রয়েছে সাতটি। ১৫ বছরে এ গ্রুপটি তিন হাজার ৬২০ কোটি ২২ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে। ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে এরপর রয়েছে মোহাম্মদী গ্রুপ। নবম অবস্থানে স্থানে থাকা গ্রুপটির বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ৩২৫ মেগাওয়াট। দেশ এনার্জি নামে তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে এ গ্রুপের। ১৫ বছরে গ্রুপটি তিন হাজার ৪০৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে।

ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে দশম স্থানে রয়েছে এসএস পাওয়ার। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মিত এ কেন্দ্রটি গত অর্থবছর উৎপাদন শুরু করে। এস আলম গ্রুপ ও চীনের সেপকো থ্রির যৌথ মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার প্লান্টের উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ২২৪ মেগাওয়াট। গত অর্থবছর কেন্দ্রটির সক্ষমতার মাত্র ২১ শতাংশ ব্যবহার করা হয়। জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সঞ্চালন সংযোগ লাইন নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় বছরের বেশিরভাগ সময় বসে থাকে কেন্দ্রটি। তারপরও এ কেন্দ্রের জন্য সরকারকে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে; যার পরিমাণ তিন হাজার ২৮৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। পূর্ণ সক্ষমতায় চললে এ কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ চার হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে।

দেশীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ে একাদশ অবস্থানে থাকা হোসাফ গ্রুপের বর্তমানে মাত্র একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। তবে এক সময় এ গ্রুপের পাঁচটি কেন্দ্র ছিল। তবে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল এসব কেন্দ্র বিভিন্ন সময়ে অবসরে চলে গেছে। এনার্জি প্রিমা ও এইচপি পাওয়ার নামে এ গ্রুপের কেন্দ্রগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছে। ১৫ বছরে এ গ্রুপটি ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে তিন হাজার ৮৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। তালিকায় থাকা পরের গ্রুপ বা কোম্পানিগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ তিন হাজার কোটি টাকার নিচে। এর মধ্যে দ্বাদশ অবস্থানে কনফিডেন্স গ্রুপ দেড় দশকে ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে দুই হাজার ৯৮৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। বর্তমানে এ গ্রুপের চারটি কেন্দ্র উৎপাদনে রয়েছে। ত্রয়োদশ অবস্থানে থাকা ইয়ুথ গ্রুপের তিনটি কেন্দ্র বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। এদের ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে দুই হাজার ৬৯৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।

এর বাইরে ম্যাক্স গ্রুপ ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে দুই হাজার ৫৬৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ও বারাকা গ্রুপ দুই হাজার ২৭৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। পরের অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে নির্মিত রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রটি। এর উৎপাদন সক্ষমতা এক হাজার ২৩৪ মেগাওয়াট। ২০২২-২৩ অর্থবছর এর একটি ইউনিট চালু হয়। গত অর্থবছর দ্বিতীয় ইউনিটটি চালু হলেও বছরের বেশিরভাগ সময় একটি ইউনিটই চলেছে। এ কেন্দ্রের জন্য ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে এক হাজার ৯৬২ কোটি ১২ লাখ টাকা।

দেশীয় অন্যান্য গ্রুপের মধ্যে প্যারামাউন্ট গ্রুপ ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে এক হাজার ৯৩৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা, শিকদার গ্রুপ এক হাজার ৮৬৪ কোটি ৮১ লাখ, আনলিমা গ্রুপ এক হাজার ৭৬৪ কোটি ৪২ লাখ, এনার্জিপ্যাক এক হাজার ৬৫৪ কোটি ১৬ লাখ, সিনহা গ্রুপ এক হাজার ৪১০ কোটি ৪০ লাখ এবং রিজেন্ট গ্রুপ এক হাজার ৩০৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। এসব গ্রুপের বেশকিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র এরই মধ্যে অবসরে চলে গেছে। এছাড়া পটুয়াখালীতে নির্মিত ৩০৭ মেগাওয়াটের বরিশাল ইলেকট্রিক কেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি চার্জ এক হাজার ১১১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর কেন্দ্রটি উৎপাদন শুরু করেছে।

উপরোল্লিখিত ২৩টি গ্রুপ/কোম্পানির বাইরেও বেশ কয়েকটি গ্রুপ বা বিদ্যুৎকেন্দ্র বর্তমানে উৎপাদনে রয়েছে। তবে এগুলোর সক্ষমতা তুলনামূলক কম ও উৎপাদনে এসেছে অনেক পরে। ফলে এসব কেন্দ্র বা গ্রুপের ক্যাপাসিটি চার্জ আদায়ের পরিমাণও অনেক কম। এর মধ্যে বি-আর পাওয়ার জেন দুটি কেন্দ্রের জন্য চার বছরে ৯৩১ কোটি ২০ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ আদায় করেছে। এছাড়া ইনডেক্স গ্রুপ তিনটি কেন্দ্রের জন্য চার বছরে ৫০৫ কোটি ৮১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে।

অন্যদিকে ইউনিক গ্রুপের একটি কেন্দ্র গত অর্থবছরের মাঝামাঝি সময়ে উৎপাদন শুরু করেছে। ৫৮১ মেগাওয়াট সক্ষমতার এ কেন্দ্রের জন্য মাত্র ছয় মাসেই ৪৭৭ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০