Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 2:59 pm

দেশের উন্নয়নের স্বার্থে পরিবেশগত সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে: সাবের হোসেন চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন ‘প্রকৃতি ও পরিবেশ আজ সঙ্কটের মুখোমুখি। এ সঙ্কট বিশেষ কোনো গোষ্ঠী, দেশ বা জাতির নয়; সমগ্র মানবজাতির। প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ।

শনিবার (১২ মার্চ) বেলা ১১ টায় ঢাকা কলিং প্রকল্পের উদ্যোগে পার্লামেন্ট ক্লাব, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ এর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে নিম্ন আয়ের মানুষের প্রতিনিধিদের নিয়ে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক শীর্ষক আলোচনা সভার প্রদান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, মানুষের বসবাস উপযোগী বিশ্ব গড়ার লক্ষ্যে চাই দূষণমুক্ত পরিবেশ। ঢাকাবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন জরুরি। এখন পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশে কোনো আইন নেই। বর্জ্য সমস্যার সমাধান করা না গেলে নগরবাসীর স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেই যাবে। পরিবেশগত স্বাস্থ্য বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। 

সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিরোধী দলীয় চীপহুইপ ও স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন এমপি প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর (কাপ) নির্বাহী পরিচালক ডা. দিবালোক সিংহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মশিউর রহমান রাঙ্গা বস্তিবাসীদের সুস্থ রাখার উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, আমাদের সুস্থ থাকতে হলে বস্তিবাসীদের সুস্থ রাখার বিকল্প নেই। সরকারের আন্ত:মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশকে সুস্থ রাখতে রাজধানীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

এ্যাড. খোদেজা নাসরিন আক্তার হোসেন বলেন, সচেতনতা, বর্জ্য দ্রুত অপসারণ, গবেষণা ও আইনের সঠিক বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় আলোচকরা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে দ্রুত গাইডলাইন প্রণোয়নের আহ্বান জানায়।

আলোচনা সভার শুরুতে ঢাকা কলিং কনসোর্টিয়াম কোঅর্ডিনেটর সানজিদা জাহান আশরাফী বিগত সভার সিদ্ধান্তগুলো পাঠ করে শুনান। আলোচনা সভায় হেল্থ-২১ এর চেয়ারম্যান ড. আবু জামিল ফয়সাল কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিষয়ক একটি গবেষণা প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন।

আলোচনা সভা থেকে দুটি সংসদীয় কমিটির হাতে ঢাকার দুই প্রান্তিক অঞ্চলের নিম্ন আয়ের প্রতিনিধিরা দুটি স্মারকলিপি তুলে দেন। স্মারকলিপিতে শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা জন্য জাতীয় বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ বৃদ্ধি করা, জাতীয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কমিটিতে শহরের প্রান্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠী ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সাথে সম্পৃক্ত কর্মীদের প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।