নিজস্ব প্রতিবেদক: এ বছর দেশের বাইরে থেকে কোনো কোরবানির পশু আসবে না বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। তিনি বলেন, কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু দেশে মজুত আছে। আমাদের যে পরিমাণ পশু উৎপাদন হচ্ছে, সেটি চাহিদা মিটিয়েও উদ্বৃত্ত থাকে। দেশের ৭৫০ খামারি এবং গৃহস্থের কাছে থাকা গবাদি পশু দিয়ে প্রয়োজন মেটানো সম্ভব হবে।
গতকাল সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ফিশারিজ অ্যান্ড লাইভস্টক জার্নালিস্টস ফোরামের (এফএলজেএফ) সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এ সময় সংগঠনের সভাপতি মুন্না রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম সুমনসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, এ বছর করোনা পরিস্থিতি ভালো রয়েছে। গত বছরের মতো খামারিদের গরু নিয়ে ফিরে যেতে হবে না। গত বছর কোরবানিতে উৎপাদিত গরুর এক দশমাংশ পশু বিক্রি হয়নি। এর সঙ্গে চলতি বছরের জন্য উপযুক্ত পশু মিলে অনেক পশু খামারিদের হাতে রয়েছে। উপযুক্ত দামেই গরু বিক্রি করতে পারবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুর হাটে বরাবরের মতো ভেটেরিনারি চিকিৎসক থাকবে। ক্রেতা ও খামারিরা চাইলেই তাদের সেবা পাবেন। এছাড়া হাটগুলোয় নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পরিচালনা করা হবে মোবাইল কোর্ট। করোনা থেকে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য আমরা অনলাইনে পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছিলাম। এবার সেই প্রক্রিয়াও থাকবে, হাটবাজারেও বিক্রি হবে।’
গরুর মাংসের দাম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ৫৫০ টাকা দামে গরুর মাংস বিক্রি করেছি, তারা কেন পারবে না? দুই-তিনটা মধ্যস্বত্বভোগী মাঝে ঢুকে যায়, সে কারণে দামটা বেশি। আমরা তো লোকসানে বিক্রি করিনি, তাহলে তারা কেন পারবে না। রেজাউল করিম বলেন, সীমান্ত এলাকায় আরও কঠোর হতে বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশনা দিচ্ছি, যাতে আমাদের দেশে বাইরের পশু না আসে। বাইরের পশু রোগ নিয়ে এলে সেটি ছড়িয়ে যেতে পারে।’