Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 7:02 pm

দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয়ার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয়ার জন্য উম্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সতর্ক পাহারায় থাকবে বলেও জানান তিনি।

দেশের সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। দায়িত্ব পালনকালে কোনো নিরীহ মানুষকে হয়রানি না করার জন্যও পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে গতকাল সোমবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস পরিদর্শনে শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচন পর্যন্ত আমরা সতর্ক পাহারায় থাকব। দেশের মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেয়ার জন্য উš§ুখ হয়ে আছে। আমরা চোরাগোপ্তা হামলায় আতঙ্কিত না। আমরা ভয় পাই না।’

বিরোধী দলের আট হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইউরোপিয়ান কমিশন মন্ত্রীর উদ্বেগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলা হচ্ছে জেলে থাকা আট হাজার নেতাকর্মীকে (বিএনপি) মুক্তি দেয়ার জন্য। তারা আমাদের বন্ধু, আমরা তাদের বক্তব্যের নিন্দা জানাতে পারি না। তবে তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। তারা খোঁজ খবর নিয়ে বক্তব্য দেবেন এবং বক্তব্যে সংশোধন করবেন। আমরা তাদের সঙ্গে ঝগড়ায় জড়াতে চাই না। আমরা বাংলাদেশেও ঝগড়া চাই না।’

এর আগে রোববার এক টুইট বার্তায় ইউরোপিয়ান কমিশনের হাই রিপ্রেজেন্টিটিভ বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ বোরেল ফনটেলেস বাংলাদেশের বিরোধী দলের প্রায় আট হাজার নেতাকর্মীর গ্রেপ্তারের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সব মামলায় যেন ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয় সেটির আহŸান জানান তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত অবরোধের নামে যে আগুন সন্ত্রাস করছে; তা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। হতাশ হওয়ার কিছু নেই। এদেশে কালো মেঘ আসে, আবার চলে যায়। জনগণের কাছে পারমাণবিক শক্তিও টেকে না। উদ্বেগ থাকবে। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

তিনি বলেন, ‘আগুন-সন্ত্রাসসহ দেশের মধ্যে প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর নির্দেশনা দেয়ার অপরাধে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। তাকে ফিরিয়ে আনার কাজ চলমান আছে।’

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রসঙ্গ টেনে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দেশে একটা সংকট চলছে। আমরা একটি চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। রাশিয়া, ইউক্রেনসহ কয়েকটি দেশে যুদ্ধ চলছে। সারা পৃথিবীতে যুদ্ধের প্রভাব পড়ছে। এ প্রভাবেও আমরা আছি। বাংলাদেশ কোনো অপরাধ না করেও যুদ্ধের কারণে কষ্ট পাচ্ছে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের যে অবস্থা এ কারণে মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনা মাঝে মাঝে বিদেশে যান, সাহায্য সহযোগিতা চান। তিনি কিছু আনার জন্যই বিদেশে যান। সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। এই দুঃসময়ে মড়ার ওপরে খাঁড়ার ঘায়ের মতো আমাদের দেশের একটি রাজনৈতিক দল আন্দোলন করছে, আগুন সন্ত্রাস করছে। দলটি ব্যর্থ হয়ে বার বার অতীতের মতো আগুন সন্ত্রাস করেছে। দেশের জন্য এ দলটির সামান্যতম ভালোবাসা নেই। তাদের উদ্দেশ্য যেকোনো উপায় ক্ষমতায় গিয়ে লুটপাট করা।’

২৮ অক্টোবরের কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গত ২৮ তারিখে এক পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে-কুপিয়ে হত্যা করেছে বিএনপি। এটা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। এমনকি তারা ৩০ জন সাংবাদিককে মারধর করেছে, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা করেছে। বিএনপি হলো একটা প্রতারক দল। বিএনপি উল্লাপাড়ার এক পাগলকে ধরে এনে জো বাইডেনের বন্ধু বানিয়ে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আন্দোলনের নামে প্রতারণার নাটক যারা করে তাদের হাতে এদেশ কখনও নিরাপদ নয়। তাদের প্রতিহত করতে হবে।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।