প্রতিনিধি, দিনাজপুর: দিনাজপুরে গতকাল বুধবার আবারও দ্বিতীয়বারের মতো সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস রের্কড করা হয়েছে। এদিকে দিনাজপুরে হাড়কাঁপানো কনকনে শীত ও মৃদু বাতাসের সঙ্গে চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকায় খেটে খাওয়া মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
ভোর থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে রয়েছে দিনাজপুরের আকাশ। সেইসঙ্গে মৃদুভাবে বইছে ঠাণ্ডা হিমশীতল বাতাস। ঠাণ্ডা হাওয়ায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না কৃষকসহ স্থানীয় খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমিকেরা।
সদরের বাঙ্গীবেচা গ্রামের কৃষিশ্রমিক ওবাইদুর রহমান ও ইজিবাইক চালক মো. নাদিম জানান, প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশায় কারণে ঘর থেকে কাজের জন্য বের হতে পারছি না, কাজ না করলে পরিবার-পরিজনের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেব? কেউ তো সাহায্য করে না। আমরা অভাবী মানুষ, আমাদের কষ্ট কখনোই শেষ হয় না। এ প্রচণ্ড শীত থেকে আল্লাহ ছাড়া আমাদের কে রক্ষা করবে?
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার সকাল ৯টায় দিনাজপুরে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রের্কড করা হয়েছে ৯ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা। দেশের দ্বিতীয় সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হযেছে পার্শ্ববর্তী জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া তৃতীয় সর্বনিন্ম রাজারহাটে ৯ দশমিক আট ডিগ্রি আর চতুর্থ সর্বনি¤œ তাপমাত্রা সৈয়দপুরে ৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন জানান, কিছু দিন ধরেই দিনাজপুরে চলমান শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে এরই মধ্যে শৈত্যপ্রবাহ শেষে আকাশে মেঘ উঁকি মারছে। এ মেঘেই আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আবারও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।
তিনি জানান, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয়েছে ৯৫ শতাংশ। তবে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সাত থেকে আট কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় গুঁড়িগুঁড়ি বা হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি।
সকালে ঘন কুয়াশা ও বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুরের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের দুর্ভোগ অনেকাংশে বেড়েছে। এ সময় রাস্তায় বের হওয়া মানুষের যাতায়াত অনেকটা কম দেখা গেছে। এছাড়া সকালে ঘন কুয়াশায় সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহনগুলোকে চলাচল করতে দেখা যায়।