দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতে সম্মত হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

গত শুক্রবার বিকালে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় সংস্থার মহাপরিচালক ট্রেডোস আধানম গাব্রিয়েসুসের সঙ্গে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেকের অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ সম্মতি প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিবৃতিতে জানানো হয়, বৈঠকে সংস্থার মহাপরিচালক আলোচনার প্রথম পর্যায়ে ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশে কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। দেশের জনসংখ্যা অনুযায়ী আমরা ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠানোর অনুরোধ জানালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক পর্যায়ক্রমে ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাঠাতে সম্মত হন।

বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ডিসেম্বরের মধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে কোভ্যাক্সের আওতায় দেশের ২০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া সম্ভব হবে। খুব অল্প সময়ে দেশের ৪০ ভাগ মানুষের জন্য ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে। পাশাপাশি অন্যান্য মাধ্যম থেকেও আমাদের ভ্যাকসিন কেনার কাজটিও চলমান থাকবে।

জাহিদ মালেক জানান, দ্বিপক্ষীয় গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠকে বাংলাদেশেই ভ্যাকসিন উৎপাদনের জন্য কারিগরি সহায়তারও আশ্বাস দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক। পাশাপাশি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন টেস্টিং ক্যাপাসিটি অব দা ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির এক্রিডিটেশন প্রদানের কার্যক্রম ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেবেন বলেও জানিয়েছেন মহাপরিচালক।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে গত দেড় বছরে কভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ কি কি উদ্যোগ নিয়েছে তা তুলে ধরলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক কভিড মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভ্যাকসিন দানে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন এবং দুটি বড় মাপের সফল ভ্যাকসিন ক্যাম্পেইন করার বিষয়টি তুলে ধরেন। এর মধ্যে গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী ৮০ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে এবং এই কাজে সরকারি, বেসরকারি মিলে প্রায় ৮০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ভ্যাকসিন দানে বাংলাদেশ নজির সৃষ্টি করেছে বলে জানান ও বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের কাছে কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন আরও পরিমাণে পাওয়ার অনুরোধ জানালে মহাপরিচালক বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০