নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আজকে দেশে বিদেশে কত ষড়যন্ত্র চক্রান্তের খেলা। তারা (বিএনপি) জানে এ দেশের ৭০ ভাগ মানুষ শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। নির্বাচনে তারা শেখ হাসিনাকে হারাতে পারবে না, সেজন্য ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা থেকে সরানোর চক্রান্ত করছে। ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে চাইছে।’
শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব স্মরণে আওয়ামী লীগ ভ্রাতৃপ্রতিম ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে বলছি, রক্তাক্ত বিদায়ে ৪৮ বছর পর বঙ্গবন্ধু তোমাকে কেউ মুছে ফেলতে পারেনি। ৪৮ বছর পর এখনও তুমি বাংলার তারুণ্যের হিমালয়। যতদিন বাংলার চন্দ্র সূর্য উদয় হবে, পাখিরা গান গাইবে, নদীর কলতান থাকবে, পাখির কলরব থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু তুমি থাকবে তোমার স্মৃতি বীরত্ব বিক্রম কেউ মুছতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গত ৪৮ বছরে শেখ হাসিনার মত জনপ্রিয় নেতা একজনও আসেনি। বাংলাদেশে গত ৪৮ বছরে জনপ্রিয়, সৎ পলিটিশিয়ানের নাম শেখ হাসিনা, দক্ষ প্রশাসকের নাম শেখ হাসিনা। সফল মুক্তির প্রতীকের নাম শেখ হাসিনা, সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা আছেন বলেই গণতন্ত্রের শৃঙ্খলমুক্ত হয়েছে, যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হয়েছে। পিতা মুজিব বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার সম্পূর্ণ হয়েছে। আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। তিনি যদি না ফিরতে পারতেন, তাহলে আজকে বাংলার মানুষ কি মুক্তির স্বপ্নে বিভোর হতে পারতেন? আমাদের ভাবতে হবে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের কীর্তি মুছে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে। পদ্মাসেতু করেছে কে? বিশ্বব্যাংক তো অপবাদ দিয়ে সরে গেছে। শেখ হাসিনা নিজের টাকায় পদ্মাসেতু করে প্রমাণ করেছেন আমরা বীরের জাতি। জ্বালারে জ্বালা, অন্তর জ্বালা; জ্বলছে বিএনপি, জ্বলছে তারেক রহমান—এই পদ্মাসেতু কীভাবে হলো। ঢাকায় আবার মেট্রোরেল; আছে আগারগাঁও, কয়েকদিন পর যাবে মতিঝিল। এই মেট্রোরেল কে করেছে? শেখ হাসিনা। অন্তর জ্বালা তো থাকবেই, তারা তো পারেনি। এই জন্যই মনে কষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘শেখ হাসিনার অর্জনে মানুষ কেন খুশি, তাই এ দলের লোকেরা কষ্ট পাচ্ছে। আজকে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট যুগে প্রবেশ করেছে, শেখ হাসিনার উদ্যোগ। আজকে সারা দেশে শতভাগ, জ্বলজ্বল করছে। গ্রাম হয়েছে শহর। তারা বিদেশি মুরব্বিদের ডাকছে। আদালতের আদেশে তত্ত্বাবধায়ক মরে গেছে এটাকে আবার জীবিত করছে চায়। এ সব কিছু হবে না।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ান ইলেভেন আমরা ভুলিনি। সেই অস্বাভাবিক সরকার আমরা হতে দেব না। খেলা হবে, ভোট চুর, দুর্নীতি, অর্থপাচার, সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদ, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে খেলা হবে। তৈরি হয়ে যান। আজকে তারুণ্যের যে ঢেউ নেমেছে। এই তরঙ্গমালা আবেগ চেতনা দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আসুন মাতৃভূমিকে রক্ষা করব। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে খেলা হবে। স্বাধীনতার শত্রুদের বিরুদ্ধে খেলা হবে। নির্বাচনের আর বেশি সময় নাই। হায়রে কত উদ্বোধন, কোথায় গেল আন্দোলন। ১০ ডিসেম্বর কী হলো গোলাপবাগে গরুর হাতে, এখন আর পদযাত্রায় কাজ হয় না। এখন বিএনপি শোক মিছিল শুরু করেছে। বিজয় আমাদের, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের ভয় নেই।’
ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘ছাত্ররাজনীতিকে নিজেদের আচরণে আকৃষ্ট করবেন। এটা করলে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সুনাম আরও বাড়বে।’
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনানের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।