নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে এখনও দুই কোটি ৬০ লাখ মানুষ অপুষ্টির শিকার বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ফাও) প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা নাউকি মিনামিগুচি। গতকাল রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশন ও ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এফআরপিআরআই) যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে লেদারল্যান্ড সরকারের রাজকীয় দূতাবাস, ইউনিসেফ, ফাও, ডব্লিউএফপি ও আইসিডিডিআরবি’র সহযোগিতায় ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড নিউট্রিশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইমলাম বলেন, বাংলাদেশে হতদরিদ্রের হার কমানোর পাশাপাশি দেশ এখন সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশ হিসেবে পরিণত করা। বাংলাদেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে আমরা ইতোমধ্যে সক্ষম হয়েছি বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
কামরুল ইসলাম বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা ইতোমধ্যে সক্ষমতা অর্জন করেছি। সবচেয়ে বড় কাজ নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা দেওয়া এবং সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। মা ও শিশুর পুষ্টি চাহিদা মেটাতে অনেক এগিয়ে গেছি; সামনে আরও অনেক কাজ করবো। একজন মা যখন সন্তান ধারণ করেন, তখন মা ও বাচ্চার পুষ্টির প্রয়োজন। বর্তমান সরকার গর্ভকালীন ভাতা দিচ্ছে; পাশাপাশি ছয় মাসের ছুটির ব্যবস্থাও করেছে। আগে মা ও শিশুমৃত্যুর হার অনেক বেশি ছিলÑযা এখন অনেক কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে শুধু পুষ্টির অভাব দূর হওয়ার ফলে।
গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমপ্রুভড নিউট্রিশনের নির্র্বাহী পরিচালক ড. লরেন্স হাদ্দাদ বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনে বাংলাদেশ সম্পূর্ণভাবে সফলতা অর্জন করতে না পারলেও প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।
প্রতিবন্ধকতাগুলো হলোÑপ্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা মেটানোর জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী মূল্যের খাদ্য এখনও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নাগালের বাইরে রয়ে গেছে। যেমন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো (এসডিজি), বৈচিত্র্যময় খাদ্যতালিকা, সাশ্রয়ী এবং উন্নত ও নিরাপদ খাবার কেনার প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ, নারীর ক্ষমতায়ন এবং ক্রমবর্ধমান সরকারি-বেসরকারি খাতের অংশীদারিত্বের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি জানান।
Add Comment