প্রতিনিধি, রাজশাহী: দেশে ২০২২ সাল পর্যন্ত এইচআইভি ভাইরাসে (এইডস) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে ২০২২ সালেই এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৪৭ জন। এইডসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ হাজর ৮২০ জনের। ২০২২ সালেই এইডসে মৃত্যু হয়েছে ২৩২ জনের। গতকাল রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সচেতনতামূলক সভায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউস রাজশাহীতে এইচআইভি-এইডস বিষয়ক এ সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে। সভায় এইডস/এইচটিডি প্রোগ্রাম (এএসপি) ও ডিরেক্টর জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসের (ডিজিএইচএস) গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভয়াবহ এ তথ্য জানানো হয়। উন্নয়ন সংস্থা লাইট হাউসের আয়োজনে আইসিডিডিআর.বি’র কারিগরি সহযোগিতায় ও দি গ্লোবাল ফান্ডের আর্থিক সহযোগিতায় এ সভা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি ও রিসোর্স পারসন ছিলেন রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সায়েদ মোহাম্মদ ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেনÑরাজশাহী জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আয়ন ফারহান সামস।
সভায় এইচআইভি এইডস বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচিস্থিতি, লাইট হাউজ রাজশাহী ডিআইসির লক্ষ্য ও অর্জনসহ ডিআইসির সেবা এবং কার্যক্রম তুলে ধরেন ডিআইসি ম্যানেজার মো. রুবেল হোসেন।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন বহরমপুর জামে মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা আব্দুল হালিম খান, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার এসএম বাইজিদ-উল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সাদিকুল ইসলাম ও মাহফুজা সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা. আবু সায়েদ মোহাম্মদ ফারুক বলেন, এইচআইভি প্রিভেনশন প্রকল্পটিতে সরকার সবার সহযোগিতা নিয়েই কাজ করছে। তবে লোকলজ্জার ভয়ে এখনও অনেক এইচআইভি রোগী প্রকাশ্যে আসছে না বা পরীক্ষা করাচ্ছে না। তাই এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিকে ঘৃণা করা যাবে না। তাদের প্রতি সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তাদের পরীক্ষার আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যেন তার মাধ্যমে অন্য কারও মধ্যে এ রোগ বিস্তার লাভ করতে না পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এজন্য সমন্বিতভাবে সবাইকে নির্দিষ্ট প্লাটফর্মে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন রাজশাহী সিভিল সার্জন।