নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। বর্তমান সরকার যেভাবে নির্বাচন করে যাচ্ছে, আগামীতেও এভাবে নির্বাচন করে যদি গ্রহণযোগ্য করাতে পারে, তাহলে গণতন্ত্র রুদ্ধ হয়ে যাবে। তখন একজন নেতা থাকবেন, তিনি আজীবনই নেতা থাকবেন। একটি মাত্র দল থাকবে, তারা চাইলে ‘শোভা’র জন্য কিছু পাপেট দল তৈরি করে রাখতে পারবে। নির্বাচনের পরিবর্তে হয়তো সব কিছুই সিলেকশনে হবে।’
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নে এ কথা বলেন জি এম কাদের। এ সময় জাপা চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সহ-সভাপতি খন্দকার দেলোয়ার জালালী উপস্থিত ছিলেন।
জিএম কাদের বলেন, ‘কখনও নির্বাচন হলে সুপ্রিম লিডারের নির্দেশেই হবে। ব্যবসায়ী ও পেশাদার সংগঠনসহ সব কিছুই এখন সিলেকশনের দিকে চলে গেছে। ব্যবসায়ী, ইঞ্জিনিয়ার, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার এবং ডাক্তারদের সংগঠনও সিলেকশনের দিকে যাচ্ছে। দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা চালুর পাঁয়তারা চলছে। দেশে একজন নেতা এবং আজীবনের জন্য তিনি নেতা থাকবেন। জনগণের কোনও অধিকার থাকবে না, তারা প্রজা হিসেবে চাকরের মতো বিবেচিত হবে। দুর্নীতি ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে শুধু রাজনৈতিক দল নয়, জনগণকেও এগিয়ে আসতে হবে।’
তিনি বলেন, দুটি কাজ সরকার সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছে। একটি হচ্ছে, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পেরেছে। জনগণ সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ে কথা বলতে পারছে না। নির্যাতন, নিষ্পেষণ এবং কঠোরভাবে দমনের ভয়ে মানুষ সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে যোগ দিতে আতঙ্কিত। দ্বিতীয় হচ্ছে, মানুষের মাঝে হতাশা সৃষ্টি করতে পেরেছে। তিন মাস দেশ বন্ধ ছিল, কিন্তু আন্তর্জাতিক কিছু সমর্থনের কারণে সরকার টিকে গেছে। এ কারণে সাধারণ মানুষ মনে করে—আন্দোলন করে কোনও ফল হবে না। এই দুটি বিষয় থেকে মানুষকে আস্থার জায়গায় নিয়ে আসতে হবে। জনগণের সক্রিয় সমর্থন ছাড়া রাজনৈতিক দলগুলো কিছুই করতে পারবে না।’