নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা সোনার বাংলা গড়ার যে সোনার মানুষ চেয়েছিলেন, তা এখন তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানটাকে মানুষ যে এত আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করেছে… সেখান থেকে আমি মনে করি শুধু গ্রহণ করলেই হবে না, আমাদের নতুন প্রজন্ম সেই আদর্শে আদর্শবান হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে এ বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।’ গতকাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি প্রকাশিত ১১টি গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু স্কলার বৃত্তি প্রদান ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কুইজের চূড়ান্ত পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানেও যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে এত গান, এত কবিতা, এত রচনা লেখা হয়েছে, পৃথিবীর অন্য কোনো নেতার নামে এত লেখা হয়েছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। সোনার মানুষ এখন তৈরি হচ্ছে। সেটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথাÑবলেন বঙ্গবন্ধুর মেয়ে। বাংলাদেশ যে এখন উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে, সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শোষিত বঞ্চিত মানুষের অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামের কথা অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘তার (বঙ্গবন্ধু) সঙ্গের অনেক সাথি, অনেক জেল-জুলুম, অত্যাচার সহ্য করেছেন আর জীবন দিয়ে গেছেন। কাজেই তাদের আত্মত্যাগ কখনও বৃথা যেতে পারে না। বাংলাদেশ হবে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ, অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। শিক্ষায়, জ্ঞানে, বিজ্ঞানে, অর্থনৈতিকভাবে, বাংলাদেশের মানুষ উন্নত হবে, সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে বিশ্বদরবারে মাথা উঁচু করে চলবে।’ আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, ‘আজকে মানুষ যে প্রযুক্তি ব্যবহার করছে এবং প্রযুক্তির মাধ্যমে আজকে বিশ্বটা সবার হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। বিশ্বকে জানার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন আর অন্ধকারে পড়ে থাকছে না। বরং বাংলাদেশের মেধাবী ছেলেমেয়েরাও বিশ্বের কাছে নিজেদের আরও উপস্থাপন করতে পারছে, তাদের জ্ঞান সেই জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। প্রযুক্তির সেটাই হচ্ছে বড় অবদান।
গত প্রায় দেড় দশকে বাংলাদেশের বিরাট পরিবর্তন হয়েছেÑমন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ তার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছে। আরও সামনে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর্থ-সামাজিকভাবে আজকে বাংলাদেশ, অন্তত আমি এটুকু দাবি করতে পারি, ২০০৮-এর নির্বাচনে জয়ী হয়ে ২০০৯-এ সরকার গঠন করে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে একটা বিরাট পরিবর্তন আনতে আমরা সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমিয়েছে, সাক্ষরতার হার বাড়িয়েছে, মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে পেরেছে, পুষ্টির নিরাপত্তা দিতে পেরেছে। সেই সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছিলাম, সেখানেও আমরা যথেষ্ট সফল হয়েছি।’
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠানে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ‘বঙ্গবন্ধুর জš§শতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বক্তব্য দেন।