দেশে কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত চার লাখ ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুই মাসের ব্যবধানে দেশে নতুন কভিড-১৯ মহামারিতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে এক লাখ। এ পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা চার লাখ ছাড়াল। অপরদিকে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে পাঁচ হাজার ৮১৮ জনে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও এক হাজার ৪৩৬ রোগী শনাক্ত হয় বাংলাদেশে। এ নিয়ে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে চার লাখ ২৫১ জনে। আর গতকালই এ ভাইরাসে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে পাঁচ হাজার ৮১৮ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক হাজার ৪৯৩ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে তিন লাখ ১৬ হাজার ৬০০ জন হয়েছে। শনাক্ত রোগীর সংখ্যার বিচারে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বে অষ্টাদশ স্থানে আছে। আবার মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩১তম অবস্থানে।

বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা চার কোটি ৩০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। মৃৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে সাড়ে ১১ লাখ ৫৪ হাজারের ঘরে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল গত ৮ মার্চ। সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে গত ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত।

প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ১০ অক্টোবর তা সাড়ে পাঁচ হাজারে দাঁড়ায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১১১টি ল্যাবে ১৩ হাজার ৭৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ২২ লাখ ৭১ হাজার ৩৪৭টি নমুনা। ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৬২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৯ দশমিক ১০ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৫ শতাংশ।

গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, নারী ছয়জন। তাদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে ও একজন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১১ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, তিনজনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ এবং একজনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।

১০ জন ঢাকা বিভাগের এবং তিনজন চট্টগ্রাম বিভাগের এবং একজন করে মোট দুজন বরিশাল ও সিলেট বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া পাঁচ হাজার ৮১৮ জনের মধ্যে চার হাজার ৪৮০ জনই পুরুষ এবং এক হাজার ৩৩৮ জন নারী।

তাদের মধ্যে তিন হাজার ২৫ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া এক হাজার ৫৪৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৭২৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৩২১ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১৩১ জনের ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪৫ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৯ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম।

এর মধ্যে তিন হাজার পাঁচজন ঢাকা বিভাগের, এক হাজার ১৫৭ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৭০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৬৪ জন খুলনা বিভাগের, ১৯৮ জন বরিশাল বিভাগের, ২৪২ জন সিলেট বিভাগের, ২৬১ জন রংপুর বিভাগের এবং ১২১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০