দেশে খাতভিত্তিক বিনিয়োগ প্রবণতা বেশি

প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এনটিভি ‘মার্কেট ওয়াচ’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে শেয়ার বিজের নিয়মিত আয়োজন ‘এনটিভি মার্কেট ওয়াচ’ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো:

দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খাতভিত্তিক বিনিয়োগ প্রবণতা অধিক। এ আচরণ বাজারের জন্য ভালো নয়। বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে খাত কোনো বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে, কোম্পানির মৌলভিত্তি, লভ্যাংশ দেওয়ার ইতিহাস, পরিচালনা পর্ষদে কারা আছে, কতটা কর্মক্ষম ইত্যাদি বিবেচনা করে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া। এক্ষেত্রে যেকোনো খাতের কোম্পানিই হতে পারে। একটি খাতে ফান্ডামেন্টাল কোম্পানি কয়টি আছে, তা আগে নির্বাচন করতে হবে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে বিষয়টি আলোচিত হয়। হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন শান্তা অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সিইও এমরান হাসান এবং পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু সাঈদ আহমেদ, এফসিএ।

এমরান হাসান বলেন, গত বছর পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হচ্ছে ব্যাংক খাতে। তবে ২০১৭ সালের শুরুতে  কর্মক্ষমতায় শীর্ষে ছিল টেলিকম খাত এবং তারপরেই ছিল ব্যাংক খাত। সামগ্রিকভাবে ব্যাংক খাতের রিটার্ন ছিল ৫৪ শতাংশের মতো। সব ব্যাংকেরই ভালো কর্মদক্ষতা লক্ষ করা গেছে। ব্যাংক খাত ভালো করার প্রধান কারণ হিসেবে আমার মনে হয়, ব্যাংকের পরিচালকসংক্রান্ত নীতিমালার পরিবর্তন। কোম্পানির মৌলভিত্তির  বিষয়টি এখানে তেমন কোনো ভূমিকা রাখেনি। ওই সময় পরিচালকদের মধ্যে শেয়ার সংগ্রহের প্রবণতা ছিল। কারণ পরিচালনা পর্ষদে আসার জন্য অনেকেই শেয়ার কিনেছেন। ব্যাংক খাতের অব্যাহত বৃদ্ধি দেখে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারীও ব্যাংকের শেয়ার সংগ্রহ করেছেন। ২০১৭ সালে আমরা শাহ্জালাল ব্যাংকের ভালো কর্মক্ষমতা দেখেছি। কিন্তু সে অনুযায়ী এটির কোনো প্রবৃদ্ধি দেখতে পাচ্ছি না। তাছাড়া ব্যাংক খাতের পিই রেশিও তুলনা করলে অন্যান্য ব্যাংক থেকে এ ব্যাংকে আসার তেমন কোনো যুক্তিসংগত কারণ পাওয়া যায় না। তাই এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে চাইলে ফান্ডামেন্টালের বাইরে যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলোর ভিত্তিতে বিনিয়োগ করতে পারে। তবে ঝুঁকিটি তাকেই নিতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেকের মুখে শোনা যায়, ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে বড় ধরনের রদবদল হওয়াতে এ ব্যাংকের বেশ কিছু ডিপোজিটর অন্যান্য ইসলামিক ব্যাংকে তাদের ফান্ড হস্তান্তর করেছে। যার কারণে অন্য ইসলামিক ব্যাংকগুলোর প্রতিও বাজারে একটি আগ্রহ তৈরি হতে দেখা গেছে।

আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে খাতভিত্তিক বিনিয়োগ প্রবণতা দেখা যায়। এ আচরণ বাজারের জন্য ভালো নয়। বিনিয়োগকারীদের বুঝতে হবে খাত কোনো বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে কোম্পানির ইতিহাস দেখে বিনিয়োগ করা এবং সেটি যেকোনো খাতেরই হতে পারে। একটি খাতে ফান্ডামেন্টাল কোম্পানি কয়টি আছে, তা দেখতে হবে। এ বিষয়ে বিনিয়োগকারীদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি।

 

শ্রুতি লিখন: রাহাতুল ইসলাম

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০