নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে চালের কোনো সংকট নেইÑজানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালেই দেখা যায় প্রচুর পরিমাণ চাল রয়েছে। চালে কেউ অস্বাভাবিক মুনাফা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। গতকাল ঢাকার আজিমপুরে ছাপড়া মসজিদ প্রাঙ্গণে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উদ্বাধন করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এ কথা বলেন। সারাদেশে একযোগে আগের তুলনায় দ্বিগুণ জোগান নিয়ে সারাদেশে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএসের চাল-আটা বিক্রি শুরু হয়েছে।
বাজারে বিভিন্ন পর্যায়ে সিন্ডিকেটের যে অভিযোগ রয়েছে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, সিন্ডিকেট ভাঙা সম্ভব নয়। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সহযোগিতা প্রয়োজন।
দেশের পর্যাপ্ত চাল মজুত থাকার পরও কেন আমদানি করা হচ্ছেÑএমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতি বছর আবাদি জমির পরিমাণ কমছে, চাষিরা আম-আনারসসহ বিভিন্ন ফসলের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে। এই কারণে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় চাল এবং গম আমদানি করা হচ্ছে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সরু চাল যাতে অবাধ আমদানি হয়, সে জন্য সরকার ট্যাক্স কমিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হবে। আজ (গতকাল) ওএমএসের মাধ্যমে জনপ্রতি ৫ কেজি চাল ও ২ কেজি আটা বিক্রি করা হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের ৫০ লাখ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে ১৫ টাকা কেজি ধরে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল দেয়া হবে। টিসিবির মাধ্যমে ভোজ্যতেল, চিনি ও মসুর ডাল দেয়ার পাশাপাশি ৩০ টাকা কেজিদরে ১০ কেজি করে চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা। আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে চাল বিতরণ করা হবে।
টিসিবির বাজার জরিপে দেখা যায়, বর্তমানে বাজারে মোটা চালের দাম প্রতি কেজি ৫৫ টাকা থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা থেকে ৮০ টাকায়। আটার কেজিও ৫০ টাকার ওপরে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএসের আওতায় প্রতি মাসে ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় বিশ লাখ টন খাদ্য শস্য মজুত আছে। ভবিষ্যতে আরও গম এবং চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবুর রহমান ও খাদ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
