নিজস্ব প্রতিবেদক: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পারছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
গতকাল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ই-কমার্সের আয়োজনে জুম প্ল্যাটফর্মে টিসিবির ‘ঘরে বসে স্বস্তির পেঁয়াজ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও ক্রেতারা বাসায় বসে কিনতে পারবেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির ধারণাটি নতুন। এ ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। আমরা থেমে থাকব না, সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাব।
তিনি বলেন, পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। দেশের অভ্যন্তরে দেশি ও আমদানি করা পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। ভারত এরই মধ্যে ২৫ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি প্রদান করেছে। এগুলোর বাংলাদেশে প্রবেশ শুরু হয়েছে। আশা করা যায় আরও ১০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেবে ভারত। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এছাড়া অনেক দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট হবে না। আমরা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কিনলে কোনো সমস্যা হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে ই-কমার্সের আওতায় দেশের সব স্থানে টিসিবি সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করবে। এ জন্য ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। বাংলাদেশে ই-কমার্স ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করেতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি প্রতিরোধ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের ই-কমার্সে পেঁয়াজ পেতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৬ টাকা মূল্যে তিন কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেনে বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্তি সচিব (রপ্তানি) মো. ওবায়দুল আজম, অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক ও ই-কমার্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ই-কমার্সের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, চালডাল কর্মসূচির পরিচালক ইসরাত জাহান নাবিলা, নাদিয়া বিনতে আমীন প্রমুখ।