নিজস্ব প্রতিবেদক: এক লাখ ৩৬ হাজার ঘনমিটার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস বা এলএনজিবাহী প্রথম জাহাজ পৌঁছেছে বাংলাদেশে। গতকাল কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে নোঙর করেছে আমেরিকান কোম্পানির জাহাজ ‘এক্সিলেন্স’। জাহাজের দেশি শিপিং এজেন্ট সীকম শিপিং লাইন্স লিমিটেডের পরিচালক জহুর আহমেদ গতকাল গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জহুর আহমেদ জানান, জাহাজটি মাতারবাড়ী উপকূল থেকে আনুমানিক তিন কিলোমিটার দূরে নোঙর করেছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় জাহাজ আর কখনও আসেনি। এটি সবচেয়ে বড় বিশেষায়িত জাহাজ। জাহাজটি কাতার থেকে এলএনজি নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। এরপর এটি ব্যবহƒত হবে ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিট (এফএসআরইউ) হিসেবে।
তিনি জানান, জাহাজটি উপকূল থেকে দূরে অবস্থান করবে ভাসমান টার্মিনাল হিসেবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানটি আগামী ১৫ বছর জাহাজের ভাড়া পাবে। এরপর এটি বাংলাদেশ সরকারের মালিকানায় চলে আসবে।
২৭৭ মিটার লম্বা, ৪৪ মিটার প্রস্থ এবং ১২ দশমিক পাঁচ ড্রাফটের এ জাহাজটি ১৪ এপ্রিল কাতার থেকে এলএনজি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করে। ২৩ এপ্রিল এটি শ্রীলঙ্কা উপকূলে পৌঁছায়।
রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড সূত্রে জানা গেছে, জাহাজটিতে থাকা এলএনজিকে সমুদ্রের পানির উষ্ণতা ব্যবহার করে আবার প্রাকৃতিক গ্যাসে রূপান্তর করা হবে। এরপর পাইপলাইনের মাধ্যমে চট্টগ্রামসহ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে।
দেশে প্রথমবারের মতো এলএনজির এই চালান নিয়ে এসেছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান এক্সিলারেট এনার্জি। ২০১৬ সালে তাদের সঙ্গে চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ইউনিট এলএনজি রিগ্যাসিফিকেশন বা গ্যাসে রূপান্তরের জন্য দিতে হবে ৪৯ সেন্ট করে। এছাড়া সব ধরনের কর এক্সিলারেটের পক্ষে পরিশোধ করবে পেট্রোবাংলা। তখন এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫৬ সেন্টে। এলএনজি আমদানি করবে পেট্রোবাংলা, শুধু রিগ্যাসিফিকেশন করে দেবে এক্সিলারেট।
দেশে পৌঁছাল এলএনজির প্রথম চালান
