দেশে পৌঁছালেন ২৮ নাবিক

নিজস্ব প্রতিবেদক: যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে আটকেপড়া জাহাজ ‘বাংলার সমৃদ্ধি’র ২৮ নাবিক দেশে পৌঁছেছেন। গতকাল দুপুর ১২টায় তাদের বহনকারী টার্কিশ এয়ারলাইনসের টিকে-৭২২ ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক শিকদার বদিরুজ্জামান ও অন্য কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান।

আনুষ্ঠানিকতা শেষে মহাপরিচালক বদিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দিত যে এই যুদ্ধাবস্থার মধ্যে আমাদের ২৮ ক্রুকে উদ্ধার করতে পেরেছি। পোল্যান্ড,

রোমানিয়া ও অস্ট্রিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সর্বোপরি সরকারের সহযোগিতায় তাদের ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘নিহত হাদিসুরের পরিবারের প্রতি আমরা সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। তার দেহাবশেষ অতিসত্বর দেশে নিয়ে আসব।’

কবে নাগাদ নিয়ে আসা হবেÑজানতে চাইলে বদিরুজ্জামান বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব। এ সময়টা ফিক্সড করে বলা যাবে না। একটা দেশে যুদ্ধ চলছে, সেখানে মানুষ ঢুকতে পারছে না। আমাদের আন্তরিকতা শতভাগ আছে। আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টা সবই আছে।

দেশে ফিরে আসা ২৮ নাবিকের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘২৮ জন সবাই সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তবে

তারা ট্রমাটাইজড। তাদের মেডিকেল টেস্টসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হবে।’

এদিকে দেশে পৌঁছার পর বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের গ্রুপ ক্যাপ্টেন জিএম নূরে আলম তাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসায় প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই আনন্দিত যে, সুস্থভাবে দেশ ফিরতে পেরেছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং পোল্যান্ড, রোমানিয়া ও অস্ট্রিয়ার দূতাবাসের কঠোর পরিশ্রমের কারণে আমরা দ্রুত আসতে পেরেছি। এত দ্রুত দেশে ফিরতে পারব, এটা ছিল আমাদের জন্য অকল্পনীয়।’

জিএম নূরে আলম বলেন, ‘২ মার্চ আমরা সবাই নিয়মিত ডিউটিতে ছিলাম। বিকালে যখন আক্রমণ হয়, তখন জাহাজের ব্রিজে আগুন লেগে গিয়েছিল। এরপর আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। হাদিসুর সেখানে থাকায় হামলায় মারা যান।’

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০