Print Date & Time : 16 June 2025 Monday 4:02 pm

দেশে ফিরতে ও দেশ ত্যাগে আইনি বাধা দেখছেন না ক্রীড়া উপদেষ্টা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: সাকিব আল হাসানের দেশে ফিরতে এবং পরবর্তী সময়ে দেশ ত্যাগেও কোনো আইনি বাধা দেখছেন না যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনে তিনি স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘ (সাকিবের) দেশে আসা কিংবা বাইরে যাওয়ার ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা থাকার কথা নয়।’

সব ঠিক থাকলে ২১ অক্টোবর শুরু দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রথম টেস্টটাই হবে সাকিবের ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। ভারতে কানপুর টেস্টের আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, এই ম্যাচটা খেলে বিদায় জানাতে চান টেস্ট ক্রিকেটকে।

সেই থেকে আলোচনা, হত্যা মামলার আসামি সাকিব কি দেশে ফিরে কোনো আইনি জটিলতায় পড়বেন? তিনি কি এরপর আবার নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে পারবেন? মামলা থাকায় আইনগত কোনো বাধার সম্মুখীন হবেন না তো!

সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে এর আগেও একাধিকবার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে। তারপরও যেন কৌতূহল যায় না। সে কারণেই বিপিএল ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ সামনে রেখে শেরেবাংলা স্টেডিয়াম পরিদর্শনে এসে আজ ক্রীড়া উপদেষ্টাকে আরেকবার বলতে হলো, ‘একজন ক্রিকেটার, তিনি খেলবেন এবং তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। আসার ব্যাপারে তো আমি কোনো বাধা দেখি না।’ উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। ক্রিকেট দলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাও রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেটা আমরা নিশ্চিত করব।’

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বাইরে দুই-তিন দিন ধরে একটি পক্ষ সাকিবের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাচ্ছে। স্টেডিয়ামের বাইরের দেয়ালে সাকিববিরোধী বিভিন্ন দেয়াল-লিখনও হয়েছে। গতকাল তো নাকি সাকিববিরোধী এবং সাকিবের পক্ষের দুই গ্রুপের মধ্য পাল্টাপাল্টির মতো ঘটনাও ঘটেছে স্টেডিয়ামের বাইরে।

আসিফ মাহমুদ সাকিববিরোধীদের এমন আচরণকে তাঁদের আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই দেখছেন, ‘এটা তো আসলে আবেগের ব্যাপার। তাদেরও ওই অধিকার আছে। গণতান্ত্রিক দেশ, সাংবিধানিক অধিকার আছে যেকোনো ধরনের আন্দোলন বা যেকোনো কিছু করার।’

একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, যেকোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হুমকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা দুই টেস্টের সিরিজটাকেই, ‘নিরাপত্তার বিষয়ে সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত। যেহেতু এখানে দক্ষিণ আফ্রিকা আসবে, আমাদেরও পরিবেশটা ভালো রাখতে হবে। না হলে বাইরের দেশগুলো এখানে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার সমস্যা বোধ করবে।’