Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 12:55 pm

দেশে রাজনৈতিক অপরাধ বেড়েছে: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে রাজনৈতিক অপরাধ বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, সামাজিক অপরাধের পাশাপাশি রাজনৈতিক অপরাধও বাড়ছে। রাজনীতির নামে মানুষ পোড়ানো ও আগুন দেয়া পৃথিবীতে অন্য কোথাও ঘটে কি না জানা নেই। আগুন দেয়া ও মানুষ পোড়ানো এগুলো অপরাধ। রাজনৈতিক অপরাধ দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোার্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) আয়োজিত ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্রাইম রিপোর্টিং একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিট। কারণ যখন অপরাধ বিটের সাংবাদিকরা কোনো অপরাধীর বিরুদ্ধে নিউজ করেন তখন সে ক্ষেপে যায়। ক্রীড়া ও বিনোদন বিটের সাংবাদিকদের কোনো ঝুঁকি নেই। তবে রাজনৈতিক বিটেও ঝুঁকি আছে।

বাজার মূল্যবৃদ্ধির পেছনে মুনাফাখোররা দায়ী বলে জানিয়ে তিনি বলেন, সংকটের কারণে সব সময় বাজারদর বাড়ে তা নয়। অতিরিক্ত মুনাফা করার প্রবৃদ্ধিও অপরাধ। এগুলো নিয়েও রিপোর্টিং করা দরকার। যারা মজুত করে, দাম বাড়ায় তাদের বিরুদ্ধেও রিপোর্ট হওয়া দরকার। তবে এ রিপোর্টিংগুলো করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যারা ব্যবসায়ী তাদেরও গণমাধ্যম রয়েছে। আর এসব বিষয়ে রিপোর্টিং করা হলে সমাজ সঠিক পথে হাঁটবে।

সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকার অনুরোধ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ক্র্যাবের ৪০ বছর হলো। আজও আপনারা ঐক্যবদ্ধ আছেন। অন্যদিকে ডিআরইউও ঐক্যবদ্ধ আছে। আপনারা কেউ বিভক্ত হননি। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হবেন না। রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত হওয়া ভালো নয়।

ইউটিউব ও ভুঁইফোঁড় পত্রিকার মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এটা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ভুঁইফোঁড় পত্রিকা ও ইউটিউবের নামে চ্যানেল পরিচয় দেয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। অনেক সময় গ্রামের মানুষ বোঝে না কোনটা টিভি আর কোনটা ইউটিউব। যারা ইউটিউবে চ্যানেল খুলে নিউজ প্রকাশ করছেন, এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচিবালয়ে বেশ কটি ঘটনা ঘটেছে। বিশ্বের অন্য দেশগুলোর সচিবালয়ে  প্রবেশের জন্য এত কার্ড নেই। তাহলে এত কার্ড কেন! সবাই এটা বাতিলের পক্ষে বলেছে, একমাত্র আমি বলেছি এটার পক্ষে। এখন আগের তুলনায় অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে, কারণ অনেক পত্রিকার মালিক সরাসরি রিপোর্টিং করেন না, তাহলে তাদের কার্ড কী দরকার। অনেকে জেলায় কাজ করেন তাদেরও কার্ড ছিল। এসব কারণে এখন কার্ড কমিয়ে আনা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সেক্রেটারি মামুনূর রশীদ, সাবেক সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাবেক সেক্রেটারি আবুল হোসেন। পরে তথ্যমন্ত্রী ক্র্যাবের নেতাদের নিয়ে ৪০ বছর পূর্তি উপলক্ষে কেক কাটেন। শেষে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।