Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 3:00 am

দেশে সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ

শেয়ার বিজ ডেস্ক: বছর ব্যবধানে সারা দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে এক শতাংশ। সর্বশেষ হিসাব আনুযায়ী, দেশে ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে সরকার। যেখানে ২০১৮ সালে গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। খবর: জাগো নিউজ।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ‘আন্তর্জাতিক সাক্ষরতার দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য তুলে ধরবেন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের হিসাবে দেশে বর্তমানে ৫০ থেকে ৬৭ বছর পর্যন্ত সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক তিন শতাংশ এবং সাত থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত ৭৩ দশমিক দুই শতাংশ। গড় সাক্ষরতার হার ৭৩ দশমিক ৯ শতাংশ।
গত বছর গড় সাক্ষরতার হার ছিল ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ বছর সাক্ষরতার হার এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সারা দেশে এখনও ২৬ দশমিক এক শতাংশ মানুষ নিরক্ষরতার অন্ধকারে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ গতকাল সোমবার বলেন, সাক্ষরতার হার বাড়াতে আমাদের নানা ধরনের পদক্ষেপ রয়েছে। এ কারণে এ বছর সাক্ষরতার হার এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, সারা দেশে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের ২১ লাখ মানুষকে সাক্ষরতার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এর আওতায় দেশের ১৬টি উপজেলার নিরক্ষর মানুষকে সাক্ষরতার জ্ঞান প্রদান করা হবে। এ কার্যক্রম চলতি বছরের নভেম্বর থেকে শুরু হবে। বর্তমানে বই ছাপানো, প্রশিক্ষণ গাইড তৈরি ও নিরক্ষর ব্যক্তিদের শনাক্তে জরিপ কাজ শুরু হয়েছে।
মহাপরিচালক আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেকেন্ড চান্স হিসেবে ১০ লাখ শিশুকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া শেখানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এ লক্ষ্যে ২০১৭ সালে পাইলটিং হিসেবে ছয় উপজেলায় এক লাখ শিশুকে এর আওতায় আনা হয়েছে। পরবর্তীতে ২৫০ উপজেলা ও ১৫টি শহরে পর্যায়ক্রমে আরও ৯ লাখ শিশুকে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে।
আন্তর্জাতিক গণসাক্ষরতা উদ্যাপনে এবার ‘বহুভাষায় সাক্ষরতা উন্নত জীবনের নিশ্চয়তা’ এ প্রতিপাদ্য ধরা হয়েছে। ১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে এ দিবসটি নির্ধারণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথম আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হয়। প্রতি বছর এ দিবসটি উদযাপনের মধ্যে দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা এবং বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে প্রথম সাক্ষরতা দিবস উদ্যাপিত হয়।
এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম আল হোসেন বলেন, সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন দেশে সাক্ষরতার সার্বিক বিষয় তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সাক্ষরতার হার বৃদ্ধিতে যে সব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সেসব বিষয়ও তুলে ধরা হবে।
তিনি আরও বলেন, দিবসটি উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট অবমুক্তকরণ, ক্রোড়পত্র ও স্মরণিকা প্রকাশ, পোস্টার তৈরি, শোভাযাত্রা, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে সড়কদ্বীপ সজ্জিতকরণ, গোলটেবিল বৈঠক ও টেলিভিশনে টকশোর আয়োজন করা হবে।