নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে গড়ে উঠতে যাওয়া ১০০ শিল্প পার্কের জন্য অনেক জায়গায় দক্ষ শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না বলে মন্ত্রিসভায় জানানো হয়েছে। শ্রমিক পেতে প্রচার-প্রচারণা চালাতে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রশিক্ষণ দিতে নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বললেন ১০০টি শিল্প পার্ক হচ্ছে, বেজা ও অন্যদের। অনেক জায়গায় শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য এটা প্রচারে আনার জন্য বলা হয়েছে। মীরেরসরাই বা অন্যান্য জায়গায় যে শিল্প পার্ক হচ্ছে, এখানে লাখ লাখ শ্রমিকের প্রয়োজন হবে।’
তিনি জানান, শ্রমিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিজেরা ক্যাপাসিটি বিল্ডিং করে এসব খোঁজ নেন, খোঁজ নিয়ে কোন অঞ্চলে কোন ধরনের শ্রমিকের প্রয়োজন হবে, সেই বিষয়ে ট্রেনিং নিয়ে আপনারা দেশেই ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এসব বিষয় যাতে ব্যাপকভাবে প্রমোশন ও ক্যাম্পেইন করে মানুষকে জানানো হয়, সে জন্য প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মানুষ যাতে প্রতারিত না হয়।
কীভাবে ক্যাম্পেইন করা হবে প্রশ্নে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূল ক্যাম্পেইন হবে মিডিয়ার মাধ্যমে। ছোট ছোট টিভিসি করে দেয়া হবে। সরকারের যে চ্যানেল আছে, সেখানেও ক্যাম্পেইন করতে হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘অনেকে না জেনে সরাসরি পেমেন্ট করে দেয়, সে জন্য একটা সাজেশন আছে, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। তারা প্রমোট করবে, প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে যাক। জমিজমা বিক্রি করে না যেতে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে একটা সুবিধা হবে ব্যাংকের কিন্তু তার অ্যাপয়েন্টমেন্টটা কনফার্ম না করা পর্যন্ত পেমেন্ট দেবে না। সে ক্ষেত্রে সেও একটা সেইফটিতে থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দালাল শ্রেণির লোকজনের খপ্পরে পড়ে বাড়ি-ঘর বিক্রি করে দিয়ে, কয়েকজনের স্পেসিফিক আমরা আলোচনাও শুনলাম যে, মালয়েশিয়াতে গেছে, ৩-৪ লাখ টাকা করে দিয়ে, জমি বিক্রি করে। আনফরচুনেটলি ওই চার লাখ টাকা সে দুই বছরে তুলতে পারেনি। নিঃস্ব হিসেবে ফেরত আসছে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে নির্দেশনা দিয়েছেন, বিদেশে যে লোকজন যাবে তা সুনির্দিষ্ট ও স্বচ্ছ করে দিতে এবং টেলিভিশন, রেডিও, পত্রিকার মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার করে দেয়া। প্রচারে বলা যে, এরা হলো অথরিটি (জনশক্তি রপ্তানির) এই পরিমাণে টাকা লাগবে। আপনাদের যদি যথাসম্ভব টাকার প্রয়োজন হয়, আপনারা অনুগ্রহ করে প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ নিয়ে যান।’