এস এম নাজের হোসাইন: সরকারের নানামুখী কর্মকাণ্ডে দেশ খাদ্যে উৎপাদনে অনেকটা স্বয়ংসম্পূর্ণ হলেও এখনও সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। দেশে খাদ্য ব্যবসায়ে জড়িত কিছু অতি মুনাফাশিকারি এবং ভেজালকারী চক্রের দৌরাত্ম্য ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। মহামারি করোনার মধ্যেও খাদ্যে ভেজাল ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভেজাল খাদ্য খেয়ে রোগে ভুগে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যু হয় অনেকের। নিত্যভোগ্যপণ্য ও খাদ্যপণ্যের বাজারে ব্যবসায়ীদের একচেটিয়া আধিপত্যের কারণে দেশে ন্যায্য ব্যবসার পরিবেশ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি ব্যবসা-বাণিজ্যে সুশাসনের ঘাটতিও ক্রমাগতই বাড়ছে। নিরাপদ খাদ্যের ব্যাপারে সাধারণ ভোক্তারাও পুরোপুরি সচেতন নয়। যার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরগুলোতে রাস্তার ওপর ধুলো-ময়লায় পথ খাবার বিক্রির উৎসব ও ক্রেতাদের দীর্ঘ সারির লাইন। কৃষক ও উৎপাদকের মাঠ/খামার থেকে, পরিবহন, সংরক্ষণ, বিপণন, খাবার টেবিলে পরিবেশন পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রে নিরাপদ খাবার নিশ্চিতকরণের বিধিবিধান গুলি পুরোপুরি অনুসরণ করা না হলে নিরাপদ খাদ্য ও অনিরাপদ হয়ে যেতে পারে। সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ উন্নত আয়ের দেশে পরিণত হতে উদ্যোগ নিচ্ছেন। কিন্তু এই মধ্যম আয়ের দেশ হতে হলে স্বাস্থ্যবান কর্মক্ষম জনশক্তির বিকল্প নেই। আর কর্মক্ষম জনশক্তির জন্য পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ খাবারের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। তবে আশার কথা হচ্ছে, সরকার এখন এ বিষয়ে মনোযোগ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী খাদ্যে ভেজাল ও অনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন এবং বিক্রয়কে ‘দুর্নীতি’ হিসেবে চিহ্নিত করে এ ব্যপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি হাইকোর্টও খাদ্য ভেজালকে দুর্নীতি বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। সরকার এ ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করবে।
আর অনিরাপদ খাদ্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির অন্যতম কারণ। অনেক জটিল এবং দূরারোগ্য ব্যাধির জন্য দায়ী অনিরাপদ খাদ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় ৬০ কোটি মানুষ দূষিত খাবার খেয়ে অসুস্থ হয় এবং প্রায় সাড়ে ৪ লাখ মানুষ মারা যায়। এছাড়া ৫ বছরের চেয়ে কম বয়সী শিশুদের ৪৩ শতাংশই অনিরাপদ খাবারজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রতি বছর মারা যায় ১ লাখ ২৫ হাজার শিশু।
একটু হাত বাড়ালেই রাজধানী ঢাকাসহ বড় বড় শহরের ফুটপাত, পার্ক, রেল ও বাস স্ট্রেশন এবং জনাকীর্ণ এলাকায় খোলা আকাশের নিচে প্রচুর খাবারের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। ফুটপাতে বিভিন্ন ধরনের লোভনীয় খাবার পথচারীদের আকৃষ্ট করে। গরমের সময় বেশি দেখা যায় বিভিন্ন ধরনের শরবত বিক্রি। শুধু পথচারী এবং শিশুরা নয়, অনেক শিক্ষিত লোকজনও ক্ষুধা ও তৃষ্ণা নিবৃত্ত করতে কখনও আবার লোভনীয় খাবারে আকৃষ্ট হয়ে কম দামে রাস্তার অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে থাকে। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব শ্রেণির মানুষের পছন্দ হলেও স্বাস্থ্যের জন্য নানা ঝুঁকি তৈরি করে এসব পথ খাবার। আর দৃষ্টিনন্দন চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই, নুডলস, বার্গার, শিঙাড়া, সমুচা, ফ্রাইড রাইসের মতো বিলাসবহুল খাবারও পথের খাবার দোকানগুলোতে পাওয়া যায়। কোথায়, কীভাবে তৈরি হয় এসব খাবার, তার খোঁজ কেউ রাখে না, অনেকের আবার সে সময়টুকুও থাকে না। আবার অনেকে নিরুপায় হয়ে এসব খাবার খেতে বাধ্য হন। রাস্তার পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করা ডিম-ভাত এবং ডিম-খিচুড়ি-রিকশা, ভ্যানচালকসহ নিন্ম আয়ের মানুষের নিত্যদিনের একমাত্র অবলম্বন।
রাস্তায় তৈরি ও পরিবেশিত খাবারকে পথ খাবার নামে অভিহিত। সস্তা, সহজলভ্য, মুখরোচক খাবার হিসেবে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্ট্রিট ফুড বেশ জনপ্রিয়। উন্নত দেশের স্ট্রিট ফুড স্বাস্থ্যসম্মত, উপাদেয় ও আকর্ষণীয় হলেও আমাদের দেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে রাস্তায় যেসব খাবার তৈরি ও বিক্রি হয় তা বেশিরভাগই বিশুদ্ধ, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্ট্রিট ফুড অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে প্রস্তুত ও পরিবেশিত হয় বলে তা বিভিন্ন জটিল ও মারাত্মক রোগ সৃষ্টি করে। খোলা আকাশের নিচে, উম্মুক্ত অবস্থায় তৈরি ও বিক্রি করা খাবার ভাসমান ধুলা-ময়লা, পোকামাকড় ও মাছি দ্বারা দূষিত হয়। সাধারণত সস্তা, তৈলাক্ত ও ঝাল হওয়ার কারণে সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে পথ খাবারের বেশ কদর রয়েছে। এ ধরনের খাবারে যেসব রোগে আক্রান্ত হতে পারে তার মধ্যে রয়েছে জন্ডিস, ডায়রিয়া, আমাশয়, টাইফয়েড, হেপাটাইটিসসহ বিভিন্ন রোগ। এছাড়া হƒদরোগ, হাঁপানি, কিডনির সমস্যা এবং বিকল হওয়াসহ ক্যানসারের মতো মারাত্মক রোগেও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে চিকিৎসকরা মনে করেন। রাস্তায় তৈরি এসব খাবার খাওয়ার ব্যাপারে সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে ফুচকা, চটপটি, শিঙাড়া, সমুচা, বেগুনি, আলুর চপ, ডালপুরি, বিভিন্ন ধরনের আচার, হালিম, ঝালমুড়ি, লেবুর শরবত, আইসক্রিম, আখের রস ইত্যাদি হরহামেশা বিক্রি হয়। শিশুদের কাছে এসব খাবার অত্যন্ত প্রিয়। পথ খাবারের পুষ্টিগুণ থাকে অতি সামান্য এবং শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব থাকে বেশি। শিশুরা এসব অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ে। ফুটপাতের খাবারে বিভিন্ন ক্ষতিকর রং মিশিয়ে আকর্ষণীয় করা হয়। সন্তানের আবদার মেটাতে অভিভাবকরাও এসব খাবার কিনে দেন। এসব খাবারের বেশিরভাগই বিএসটিআই কর্তৃক মান নির্ধারিত নয়। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এবার শিশু অস্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের হার অনেক কম। শিশুদের ঘরে তৈরি খাবার দেওয়ার অভ্যাস করার কথা নানা মহল থেকে বলা হলেও একশ্রেণির বিক্রেতাদের বিভিন্ন কেমিক্যাল, আকর্ষণীয় সুগন্ধি মিশ্রণ ও কৌশলী বাজারজাতকরণের কারণে শিশুরা এখন আর ঘরের তৈরি খাবারে অভ্যস্ত নয়।
মিডিয়ার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বদৌলতে আমরা দেখছি, নি¤œমানের আটা, বেসন ও তেল দিয়ে পথ খাবার তৈরি হয়। দিনের পর দিন একই তেল ব্যবহার করায় তা পুড়ে মানহীন হয়ে পড়ে। তাছাড়া ডুবো তেলে ভাজা খাবার এবং টেস্টিং সল্ট স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন কাপড়-চোপড়, ময়লা ও জীবাণুযুক্ত হাতে পথ খাবার তৈরি করা হয় বলে এসব খাবার ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ। খাবার তৈরিতে প্রায়ই ব্যবহার করা হয় ময়লা ও দূষিত পানি। থালা-বাসন পরিষ্কারের জন্য যে পাত্রে রাখা হয়, সে পানিও দূষিত। যে পাত্রে খাবার পরিবেশিত হয়, সেগুলোয় প্রায়ই ক্ষতিকর জীবাণু থাকে। অপরিষ্কার অবস্থায় একই পাত্রে বিভিন্ন ব্যক্তিকে খাবার পরিবেশন করে খাওয়ানো হয়, যা জন্ডিসের অন্যতম কারণ।
ফলের মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফলে বাজার, ফুটপাত ভরে থাকে। দেশীয় অনেক ফল এখন সহজলভ্যও বটে। রাস্তায় তৈরি বিভিন্ন ফলের রসে থাকে অসংখ্য জীবাণু। যেসব যন্ত্রপাতি বা আনুষঙ্গিক সামগ্রী দিয়ে ফলের রস তৈরি করা হয় এবং যেসব পাত্রে তা পরিবেশিত হয়, সেগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার করা হয় না। এ ক্ষেত্রে কোনো কোনো খাবার স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে তৈরি ও বিক্রি হয় ঠিকই, যার সংখ্যা অতি নগণ্য।
বিশেষজ্ঞদের অভিমত, খাদ্যপণ্যে এই নৈরাজ্য ঠেকাতে জেলা প্রশাসন, খাদ্য অধিদপ্তর, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তাদের মধ্যে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সমন্বয় জোরদার করতে হবে। একই সঙ্গে নিরাপদ খাদ্যের মূল অংশীজন হলো ভোক্তা, সরকারি নীতিনির্ধারণে এই ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে বৈষম্য হ্রাস করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নীতিনির্ধারণীতে ব্যবসায়ীদের আধিক্য থাকলেও ভোক্তাদের প্রতিনিধিত্ব আমলে নেয়া হয়নি। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরগুলি সব সময় ব্যবসায়ীদের সক্ষমতা উন্নয়নে নানা কর্মসূচি নিলেও ভোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে আগ্রহী নয়। ফলে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ব্যবধান বেড়েই চলেছে। কর্তৃপক্ষ যদি ব্যবসায়ী নির্ভর হয়ে যায় তাহলে যাবতীয় নীতি প্রণীত হবে ব্যবসায়ীদের স্বার্থে, যা খাদ্যপণ্যের বাজারে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বড় অন্তরায় হতে পারে এবং চলমান ব্যবসায়ী ও ভোক্তাদের বৈষম্যকে আরও উস্কে দেবে।
বর্তমান সরকার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে এগিয়ে চলেছে। করোনা মহামারির প্রেক্ষাপটে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার উন্নত প্রজাতির বীজ ও সেচের সঙ্গে সঙ্গে কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণের ওপর ব্যাপক জোর দিয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের খাদ্যাভ্যাসে শাকসবজি, ফলমূল, মাছ, মাংস ও দুধের পরিমাণ বাড়ানোর পাশাপাশি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে জোর দেয়া হচ্ছে। বিশ্বায়নের যুগে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, খাদ্যের বহুমুখিতা এবং নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই। তাই নিরাপদ, পুষ্টিসম্মত খাদ্য নিশ্চিতের দিকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে সরকার।
পুষ্টিকর ও সুষম স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। পরিমিত শর্করা, আমিষ, ভিটামিন, খনিজ পদার্থ, বিশুদ্ধ পানি, আঁশজাতীয় খাবার নিত্যদিনের খাবারের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এছাড়া প্রতিদিনের খাদ্যে শাকসবজি-ফলমূল রাখতে হবে। শাকসবজি-ফলমূল হলো ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, খনিজ পদার্থ এবং আঁশজাতীয় দ্রব্যের অফুরন্ত ভাণ্ডার। শাকসবজি-ফলমূল, আঁশযুক্ত খাবার শরীরের ওজন, হƒদরোগ, রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিরাট ভূমিকা রাখে। তাই শিশুকাল থেকেই ছেলে-মেয়েদের শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ানোর অভ্যাস করতে হবে পাশাপাশি বাইরের খাবার বর্জন করতে হবে। সরকার দেশের নাগরিকের জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির অধিকার নিশ্চিতে সচেষ্ট রয়েছে। সরকারের পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য বর্জনে প্রতিটি নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।
দেশে নিরাপদ খাদ্য, ভোক্তা অধিকারসহ জনস্বার্থে অনেক আইন ও বিধিবিধান এবং কর্তৃপক্ষ থাকলেও আইন প্রয়োগ সব সময় সমভাবে হয় না। আইন প্রয়োগে স্থান-কাল-পাত্রভেদে প্রয়োগের মাত্রাগুলোও রং বদলায়। সে কারণে আইন না মানার সংস্কৃতি ক্রমেই বাড়ছে। সরকার দলীয় সংশ্লিষ্টতা, প্রভাবশালী ও বড় ব্যবসায়ীদের বেলায় আইনের প্রয়োগে শিথিলতায় আইন প্রয়োগ বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু বাহারি ও চটকদার বিজ্ঞাপনে প্রলুব্ধ হয়ে খাদ্যপণ্য ক্রয় করলে প্রতারিত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকছে, তার সতর্কতা অবলম্বনে ভোক্তাদের সচেতনতা ও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে সাধারণ ভোক্তা ও কোমলমতি শিশুদের মাঝে সচেতনতা বিকাশে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিজ্ঞাপনের লোভে খাদ্যে ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে প্রকৃত তথ্য ও সংবাদ প্রকাশে বাধা দেয়া, ভেজালের পক্ষে সাফাই সংবাদ পরিবেশন থেকে বিরত থেকে জাতিকে প্রকৃত তথ্য জানাতে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়া পাঠ্যবইগুলোতে জাঙ্কফুডের মতো অনিরাপদ খাদ্যপণ্য, ভোক্তা অধিকার সুরক্ষার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তাহলে আজকের প্রজš§ বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোক্তা হিসেবে তার অধিকার ও কর্তব্য সম্পর্কে পুরোপুরি দায়িত্ববান হতে পারবে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট, কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)
cabbd.nazer@gmail.com