নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক জমা ৯০০ টাকা কার্যকর করাসহ ছয় দাবি জানিয়েছে ঢাকা মহানগর সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদ। গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের নেতাকর্মীরা এ দাবি জানান।
তাদের দাবিগুলো হলোÑঅটোরিকশার চালকদের জন্য রেজিস্ট্রেশন (ব্লু বুক) প্রদান; মালিকদের দ্বারা চালকদের জিম্মি দশা নিরসন; বিআরটিএ নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা কার্যকর; মিটার ও নো-পার্কিংয়ের নামে পুলিশি হয়রানি, জরিমানা ও মামলা দেয়া বন্ধ করা; সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ ও বিধিমালা ২০২৩-এর চালকস্বার্থবিরোধী ধারাগুলো সংশোধন এবং আইএলও কনভেনশন ৮৭ অনুযায়ী অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার দেয়া।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে অটোরিকশা চালকরা কঠিন জীবনসংগ্রামে লিপ্ত। তারা দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করেও পরিবারের অন্নবস্ত্রের চাহিদা মেটাতে পারছে না। ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার খরচ চালানো ও বাড়িভাড়া দিতেও হিমশিম খাচ্ছে। তাই ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা চালকদের সমস্যা সমাধানের লক্ষে এরই মধ্যে ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালের ১ নভেম্বর বিআরটিএ ঢাকা মহানগরের সিএনজিচালিত অটোরিকশার মালিকদের দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নির্ধারণ করে। কিন্তু মালিকরা সে নির্দেশনা অমান্য করে দৈনিক জমা এক হাজার ১০০ টাকা থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা বা তার বেশি নিচ্ছে। তাই বিআরটিএ’র নির্ধারিত দৈনিক জমা ৯০০ টাকা কার্যকর করা প্রয়োজন।
বক্তারা আরও বলেন, ২০১৫ সালের পর তেল, গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম বহুগুণ বেড়েছে। কিন্তু সিএনজিচালিত অটোরিকশার মিটার রেট বাড়েনি। যে কারণে বর্তমানে মিটার রেটে অটোরিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই চালকরা যাত্রীদের সঙ্গে দর কষাকষি করে গন্তব্যে যাচ্ছেন। এতে যাত্রীদের কোনো আপত্তি না থাকলেও ঢাকা মহানগরের টিআই ও সার্জেন্টরা প্রতিনিয়ত চালকদের ৭০০ থেকে সাত হাজার টাকা পর্যন্ত মামলা দিচ্ছেন, যা বহন করতে হচ্ছে চালকদেরই। তাই মিটার ও নো-পার্কিংয়ের নামে পুলিশের এ হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
ঢাকা মহানগর সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শেখ হানিফের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব গোলাপ হোসেন সিদ্দিক, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মান্নাফ, শিক্ষা-বিষয়ক সম্পাদক নীরু ও আইন-বিষয়ক সম্পাদক দুলাল হোসেন।
