শেয়ার বিজ ডেস্ক: কভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃতেুর সংখ্যা বেড়েছে। তবে আগের দিনের তুলনায় কমেছে নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় (সোমবার সকাল থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত) বিশ্বে কভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় আট হাজার মানুষ। একই সময় ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা নেমে এসেছে পৌনে ১৮ লাখের নিচে। খবর: আল জাজিরা।
গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে রাশিয়ায়। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬০৯ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৭১ হাজার ৯০৫ জন। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে নতুন করে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ ৩৫ হাজার ৫৪১ জন এবং মারা গেছেন এক হাজার ১২৩ জন। প্রাণহানির তালিকায় এরপর রয়েছে রাশিয়া, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইতালি, কলম্বিয়া ও তুরস্ক। সবমিলিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৩৯ কোটি ৭৯ লাখের ঘর। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার।
গতকাল পরিসংখ্যানবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাত হাজার ৯১৬ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে দেড় হাজারের বেশি। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৭ লাখ ৬৭ হাজার ৯৬৬ জনে।
একই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৭ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৯০ হাজার। এতে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত কভিডে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯ কোটি ৭৯ লাখ তিন হাজার ৬২৫ জনে।
ফ্রান্সে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৬ হাজার একজন এবং মারা গেছেন ৪১৭ জন। মহামারির শুরু থেকে এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত দুই কোটি আট লাখ চার হাজার ৩৭২ জন কভিডে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এক লাখ ৩২ হাজার ৯২৩ জন মারা গেছেন। একই সময় স্পেনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০ হাজার ২৭২ জন এবং মারা গেছেন ১১১ জন। আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় এবং মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রাজিল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩১ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৬৮ হাজার ৫৪০ জন। করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত। তবে কভিডে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়।