দৈর্ঘ্য কমলেও নির্মাণব্যয় বাড়ছে ৩৪%

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের ভুলতায় ফ্লাইওভার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৩ সালে। দুই বছরের মধ্যে এটি নির্মাণ করার কথা ছিল। তবে চার বছরেও তা সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে প্রকল্পটি দ্বিতীয় দফা সংশোধনের প্রস্তাব করেছে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদফতর। এক্ষেত্রে ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য সামান্য কমানো হচ্ছে। তবে প্রকল্প ব্যয় না কমে উল্টো বেড়ে যাচ্ছে প্রায় ৩৫ শতাংশ।

প্রকল্পটির সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (আরডিপিপি) এ তথ্য উঠে এসেছে। ব্যয়ের পাশাপাশি প্রকল্পটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের ভুলতা বাজারটি ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-বাইপাস জাতীয় মহাসড়ক এবং ভুলতা-আড়াইহাজার ও ভুলতা-রূপগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের সংযোগস্থল। ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হলে দুটি জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কের যানবাহন নিরবচ্ছিন্নভাবে চলাচল করতে পারার কথা রয়েছে।

আরডিপিপির তথ্যমতে, ২০১৩ সালে ভুলতায় ৬৩১ দশমিক ১৬ মিটার চার লেনে উন্নীতকরণের প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন করা হয়। সে সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৩৯ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৫ সালের জুনের মধ্যে এটি শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়, যদিও ফ্লাইওভারটি নির্মাণে চুক্তি করা হয় ২০১৫ সালের অক্টোবরে।

এদিকে ফ্লাইওভারটিতে ওঠানামার পথ (র‌্যাম্প) নিচের সড়কে যান চলাচলে অসুবিধা সৃষ্টি করবে বলে জানায় বিশেষজ্ঞ কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য বাড়িয়ে র‌্যাম্পসহ এক হাজার ৮৭৭ দশমিক ৫০ মিটার নির্ধারণ করা হয়। আর ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৬৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর প্রকল্পের মেয়াদ করা হয় ২০১৭ সালের জুন পর্যন্ত। এর মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ না হলে মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। তবে বর্ধিত সময়েও কাজ হয়নি ফ্লাইওভারটির।

এবার দ্বিতীয় দফা প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ফ্লাইওভারটির দৈর্ঘ্য কমে হচ্ছে এক হাজার ৮৫০ মিটার। অর্থাৎ দৈর্ঘ্য ২৭ দশমিক ৫০ মিটার কমানো হয়েছে। তবে ফ্লাইওভার নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩৫৪ কোটি আট লাখ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে ৯০ কোটি ৭৬ লাখ টাকা বা ৩৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ। পাশাপাশি প্রকল্পটির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এতে দুই বছরের প্রকল্পটি গড়াচ্ছে ছয় বছরে।

জানতে চাইলে সওজের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান শেয়ার বিজকে বলেন, প্রথম দফা নকশা সংশোধনের জন্য প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে যায়। পাশাপাশি নির্মাণ ব্যয় বাড়ানো হয়। তবে নিচের সড়ক অযান্ত্রিক যান চলাচলে ফ্লাইওভারের উচ্চতা দ্বিতীয় স্তরে বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি ও বিশেষজ্ঞ কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যয় কিছুটা বাড়ছে।

উল্লেখ্য, সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতা এলাকায় প্রায় এক কিলোমিটার অংশ আট লেনে এবং প্রায় দুই কিলোমিটার চার লেনে উন্নীত করা হবে। এছাড়া ঢাকা-বাইপাস মহাসড়কের দুই কিলোমিটার অংশ ছয় লেনে, ভুলতা বাজারে তিনটি সংযোগ সড়কের উন্নয়ন, বাজার অংশে তিন হাজার ৬০০ মিটার ড্রেনসহ ফুটপাত নির্মাণ করা হবে।

 

 

 

 

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০