দ্বিতীয় পর্যায়ে ৭৩ শতাংশ ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রণোদনা প্যাকেজে ছোট (সিএমএসএমই) ঋণ বিতরণ কমেছে ৪ শতাংশ। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ছোটদের ঋণ দিয়ে অধিক মুনাফা অর্জন হয় না। এর জন্য ছোটদের চেয়ে বড়দের ঋণ দিতে আগ্রহী থাকে ব্যাংকগুলো। এ কারণে প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় সিএমএসএমই খাতের ঋণ বিতরণ কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রণোদনা দ্বিতীয় ধাপে ১৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধরণ করে দেয়া হয়। অতি ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি (সিএমএসএমই) শিল্পে বিদায়ী অর্থবছরের (২০২১-২২) পুরো সময়ে (জুলাই-জুন) ১৪ হাজার ৭৪৬ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে ব্যাংকগুলো; যা তাদের মোট লক্ষ্যমাত্রার ৭৩.৭৭ শতাংশ। এর আগে অর্থবছরে (২০২০-২১) পুরো সময়ে প্রণোদনার প্রথম ধাপে বিতরণ হয়েছিল লক্ষ্যমাত্রার ৭৭ শতাংশ। সে হিসাবে বিদায়ী অর্থবছরে ঋণ বিতরণ কমেছে ৪.১৫ শতাংশ।

প্রতিবেদন মতে, বিদায়ী অর্থবছরে ৮২ হাজার ১৯০ উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানের মাঝে এসব ঋণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ উদ্যোক্তা ছিলেন ৭৩ হাজার ৬৪২ জন এবং নারী উদ্যোক্তা ১৪ হাজার ৬১৭ জন। অর্থবছরের শেষ মাস জুনে ১৭ হাজার ৯১৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়। যাদের মধ্যে নারী উদ্যোক্তা ছিলেন ৩ হাজার ২৯৬ জন এবং পুরুষ উদ্যোক্তা ছিলেন ১৪ হাজার ৬১৭ জন।

দ্বিতীয় পর্যায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ২ হাজার ২৮০ কোটি টাকা বিতরণ করে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৮২ শতাংশ। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর বিতরণ ২৪১ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৯৬ শতাংশ। বিদেশি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৭২ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩৮ শতাংশ এবং ইসলামি ব্যাংকগুলোর বিতরণ ৩ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ৬৪ শতাংশ।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি ৮৯০ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছিল, এর বিপরীতে ১ হাজার ১১৩ কোটি টাকাই বিতরণ করেছে ব্যাংকটি; যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ১২৫ শতাংশ। এর পরেই রয়েছে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটি ৫০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫৩৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ১০৭ শতাংশ। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ৯৯ শতাংশ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটির ২০০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৯৮ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। তাছাড়া বিদেশি সিটি ব্যাংক এন এ লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ অর্জন করেছে। ব্যাংকটির ৫ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৫ কোটি টাকাই বিতরণ করেছে। বেসরকারি এবি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ১০৫ শতাংশ বিতরণ করেছে। ব্যাংকটির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৪০ কোটি টাকা। বিপরীতে বিতরণ করেছে ২৫৩ কোটি টাকা।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০