নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের
কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেড। আর এই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে জানা গেছে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৭৬ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ৬ পয়সা। অন্যদিকে প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৭১ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল এক টাকা ৫৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে শেয়ারপ্রতি আয় ১৪ পয়সা বেড়েছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৯ টাকা ৭৭ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ৩৮ টাকা ২ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২ টাকা ২১ পয়সা, আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ২ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ০২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৪ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১১টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
সামিট পাওয়ার লিমিটেড ২০০৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। তাদের এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৬৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার কোটি ৯৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১০৬ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার ২৩৯ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৩ দশমিক ১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে ১৮ দশমিক ৭০ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে তিন দশমিক ৬৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকা ৭২ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৯১ পয়সা। এর আগে সামিট পাওয়ার ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ২৫ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে আট টাকা ৫৩ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বমোট ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে পাঁচ টাকা ১৭ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২০ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ টাকা ৪২ পয়সা।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ বা ৪০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ২৩ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৩ টাকা ৪০ পয়সা। ওইদিন কোম্পানিটির ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৯ শেয়ার মোট ২৬৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৩৯ লাখ ১০ হাজার টাকা। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৩ টাকা ৩০ পয়সা ও সর্বোচ্চ ২৪ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানির শেয়ারদর সর্বোচ্চ ৩৪ টাকা থেকে সর্বনিম্ন ২২ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।