নিজস্ব প্রতিবেদক:চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ২৬ পয়সা কমেছে। মূলত পুনঃবিমা এবং বিমা দাবির খরচ বাড়ায় ইপিএস কমেছে বলে জানা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস কমেছে ২৬ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৩২ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৮৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ৫৩ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৩০ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ২৬ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল চার টাকা দুই পয়সা।
এর আগে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৬৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৯৫ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস কমেছিল ২৮ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০ টাকা ৮৫ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২০ টাকা ১৭ পয়সা। আর ওই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ২ টাকা ৪৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ২ টাকা ২৩ পয়সা ছিল।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট ৪ কোটি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং বাকি ৩৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিমা খাতের এ কোম্পানিটি। আলোচিত সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ২ টাকা ৮৬ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৭ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরেও ব্যাংকটি পাঁচ শতাংশ নগদ ও পাঁচ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৩ টাকা ৮৩ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছিল ২৬ টাকা ৯৯ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছিল ৮ টাকা ৮৯ পয়সা।