নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইস্টার্ন হাউজিং লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সমেয় কোম্পানিটির ইপিএস কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ২ টাকা ৯ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ২ পয়সা কমেছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই- ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ২৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ টাকা ১৩ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে ইপিএস বেড়েছে ১২ পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৮০ টাকা ৮৩ পয়সা। প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ২৯ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছর একই সময় ১৫ টাকা ১০ পয়সা ছিল।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ৩৭ পয়সা। ৩০ জুন ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ৮০ টাকা ০৮ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২০ টাকা ৫৬ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৫ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৭৪ টাকা ৭১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২১ টাকা ৮০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৯৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৯৩ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৬৫৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৯ কোটি ৩৩ লাখ ৪৫ হাজার ১৫৩টি শেয়ার রয়েছে।