নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের কোম্পানি সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৪৯ পয়সা বেড়েছে। মূলত ব্যবসা ভালো করার পাশাপাশি সুদজনিত আয় বাড়ায় ইপিএস বেড়েছে বলে জানা গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৬৫ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৪৯ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল এক টাকা ৩২ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৭৪ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৮৩ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৫ টাকা ৫ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ২৫ পয়সা।
কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সাড়ে ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৪২ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২২ টাকা ৪৩ পয়সা। এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ৮২ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৮৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ১৭ পয়সা।
এছাড়া এ হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৮৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সালে এনএভি ছিল ২৬ টাকা ৯৯ পয়সা। আর আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৮ টাকা ৮৯ পয়সা।
বিমা খাতের কোম্পানিটি ২০২১ সালে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ ৪৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে বাকি ২৫ দশমিক ১১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ বা তিন টাকা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ৫০ টাকা ৭০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৩৭ শেয়ার এক হাজার ৪৪ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ৭০ লাখ ৬০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৪৯ টাকা থেকে ৫১ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৬২ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।