দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস বেড়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি আইডিএলসি ফাইন্যান্স পিএলসি। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ৫ পয়সা বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯১ পয়সা। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৫ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ১ টাকা ৭৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৬ টাকা ২ পয়সা। এছাড়া আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ৮১ পয়সা, অথচ আগের বছরের একইসময়ে ছিল ২ টাকা ৪০ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৬৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৭১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২৩ টাকা ২১ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ টাকা ৬১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৩ টাকা ৫৬ পয়সা।

আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও পাঁচ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে পাঁচ টাকা ৩৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৪১ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে সাত টাকা দুই পয়সা।

১৯৯২ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি। এক হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪১৫ কোটি ৬৯ লাখ ৮০ হাজার টাকা। কোম্পানির রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৩৫৮ কোটি ২১ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৪টি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ৫৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের ২৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ১৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে বাকি ১৩ দশমিক ৬৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৭৩ শতাংশ বা ৯০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৩২ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজ–ড়ে ২২ হাজার ২৪০টি শেয়ার মোট ৫৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। দিনভর কোম্পানিটির শেয়ার ৩২ টাকা ১০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৮০ পয়সায় লেনদেন হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৬ টাকা ৭০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৬ টাকা ৫০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০