নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়া শিল্প খাতের কোম্পানি বাটা শু কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির অনিরীক্ষিত আর্থিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সমেয়র তুলনায় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৩ টাকা ৭৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২২ টাকা ১১ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ৮ টাকা ৩৮ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২৭ টাকা ১৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৩২ টাকা ৭ পয়সা। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে চার টাকা ৯১ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৬৫ টাকা ৮ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ২৩৭
টাকা ৯৩ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৬ টাকা ৬৪ পয়সা।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৪৩৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৩১ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য সর্বমোট ৩৬৫ শতাংশ নগদ দিয়েছিল। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ টাকা ৯৮ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ১৬ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১০৭ টাকা ৮৪ পয়সা। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ টাকা ১ পয়সা (লোকসান)। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৫২ টাকা ৩৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৯১ টাকা ৯০ পয়সা।
কোম্পানিটি ১৯৮৫ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৩ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৩৩৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৭০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৯ দশমিক ৬৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৩০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৯ দশমিক ০৫ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ৩ টাকা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৯৪০ টাকায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ৯৪৮ টাকা ১০ পয়সা। দিনজুড়ে ১ হাজার ৫৫৩টি শেয়ার মোট ৭৬ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর ৯২২ টাকা থেকে ৯৪৯ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৯০১ টাকা থেকে সর্বোচ্চ এক হাজার ২৫ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।