নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি এবি ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির অনিরীক্ষিত আর্থিক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) আগের বছরের একই সমেয়র তুলনায় কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৩১ পয়সা। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে ২৭ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময় যা ছিল ৪২ পয়সা।
অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে ইপিএস কমেছে ২৬ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৪৬ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২৯ টাকা ৪৭ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৮ টাকা ৬৮ পয়সা (ঘাটতি), অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯৫ পয়সা (ঘাটতি)।
২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, আলোচিত সময়ে ইপিএস হয়েছে এক টাকা দুই পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৫৮ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে (এনওসিএফপিএস) ১১ টাকা ২০ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য দুই শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৯ টাকা ৯২ পয়সা।
আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৯ টাকা ৫০ পয়সা (লোকসান)। এর আগে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরে দুই শতাংশ নগদ ও তিন শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে এবি ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮৬ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ শেষে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি সমন্বিত নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩০ টাকা ৫৯ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪ পয়সা।
‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ১৯৮৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানির এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৮৯৫ কোটি ৬৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৭০১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৮৯ কোটি ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৪৯টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩১ দশমিক ২১ শতাংশ, সরকারি শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ২২ দশমিক ৮১ শতাংশ, বিদেশি শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং বাকি ৪৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।
এদিকে সর্বশেষ কার্যদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ বা ২০ পয়সা কমে প্রতিটি সর্বশেষ ৭ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। ওইদিন ১৭ লাখ ৫৭ হাজার ৩৬৩টি শেয়ার মোট ২২৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ১ কোটি ২৪ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনি¤œ ৭ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়। এক বছরের মধ্যে শেয়ারদর ৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১৩ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।