Print Date & Time : 18 June 2025 Wednesday 1:26 pm

দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস কমেছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। একইসঙ্গে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) হিসাবেও ইপিএস কমেছে। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা দিয়েছে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ১৭ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ২৭ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস কমেছে ১০ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৭৫ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল এক টাকা ৮ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে ইপিএস ৩৩ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ জুন শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৪১ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩০ জুনে ছিল ২০ টাকা ৬২ পয়সা। আর প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৬ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৩ পয়সা।

এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪০ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা (ঘাটতি)। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এজন্য রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ সেপ্টেম্বর।

এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ এবং ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৩ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৩ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯৭ পয়সা। আর এর আগে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে কোম্পানিটি ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৯ টাকা ৬২ পয়সা।
‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০০৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। কোম্পানিটির ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪২ কোটি চার লাখ ৪০ হাজার টাকা।

রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট চার কোটি ২০ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৭টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকের কাছে ৩৯ দশমিক ৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১০ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং ৫০ দশমিক ১৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর শূন্য দশমিক ৯৮ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৩০ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। এদিন কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩১ টাকায় হাতবদল হয়। দিনজুড়ে কোম্পানিটির মোট ৬৯ হাজার ৮৩৩টি শেয়ার মোট ১৮৯ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ২১ লাখ টাকা। গত ৫২ সপ্তাহের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৬ টাকা ১০ পয়সা এবং সর্বোচ্চ ৫৬ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।