নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) কমেছে। একইসঙ্গে প্রথমার্ধের (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) হিসাবেও ইপিএস কমেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩০ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস কমেছে ৪ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ৫৪ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৭০ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধে ইপিএস ১৬ পয়সা কমেছে। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ জুন তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৪৪ পয়সা, যা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ১১ টাকা ৯০ পয়সা। আর প্রথমার্ধে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) দাঁড়িয়েছে ২২ পয়সা (ঘাটতি), যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ পয়সা।
এদিকে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের ব্যতীত সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৯০ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৩০ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩৬ পয়সা।
এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৯ পয়সা। আর এর আগে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ২৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ৩২ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮১ পয়সা।
কোম্পানিটি ২০২১ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৪০ কোটি টাকা।
রিজার্ভের পরিমাণ ৪৫ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট চার কোটি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৪ দশমিক ৮০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৩৫ দশমিক ২০ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ১ দশমিক ১৬ শতাংশ বা ৩০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি সর্বশেষ ২৬ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দর ছিল ২৫ টাকা ৭০ পয়সা। দিনজুড়ে ১৫ হাজার ৩৯৪টি শেয়ার মোট ৪৩ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৪ লাখ টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৫ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ২৬ টাকা ৩০ পয়সায় হাতবদল হয়। গত এক বছরে শেয়ারদর ২৩ টাকা ৮০ পয়সা থেকে ৪৪ টাকার মধ্যে ওঠানামা করে।
