দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডরিন পাওয়ারের ইপিএস বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২১) ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের সহযোগী দুই কোম্পানির আয় বেড়েছে। একইসঙ্গে বকেয়া ঋণ ও সুদের হার কমায় আর্থিক ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর ফলে এ প্রান্তিকে ডরিন পাওয়ারের শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে। কোম্পানিটির প্রকাশিত চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিটি তাদের চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, কোম্পানিটির দ্বিতীয় প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল দুই টাকা পাঁচ পয়সা। অর্থাৎ, আগের বছরের তুলনায় ইপিএস বেড়েছে ২৮ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিক বা ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২১) ইপিএস হয়েছে চার টাকা ৮৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল তিন টাকা ৮৫ পয়সা। এছাড়া ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৬৯ পয়সা, যা ২০২১ সালের ৩০ জুন ছিল ৪৩ টাকা ২২ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে চার টাকা তিন পয়সা (ঘাটতি); অথচ আগের বছর একই সময়ে ছিল এক টাকা ১২ পয়সা। দ্বিতীয় প্রান্তিকে নগদ অর্থপ্রবাহ কমার কারণ হিসেবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, তাদের সহযোগী কোম্পানির পাওনা অর্থ আদায় কম হয়েছে এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে ক্লোজিং স্টক উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

এদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০২১) কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে দুই টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল দুই টাকা এক পয়সা। অর্থাৎ, ইপিএস বেড়েছে ৮২ পয়সা। ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৫১ টাকা ২৪ পয়সা। আর প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে দুই টাকা ৩৬ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে উদ্যোক্তা ও পরিচালক ব্যতীত শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীর জন্য ১৩ শতাংশ নগদ এবং সব বিনিয়োগকারীর জন্য ১২ শতাংশ বোনাস, অর্থাৎ সর্বমোট ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে আট টাকা ৯ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে এনএভি দাঁড়িয়েছে ৪৮ টাকা ৪১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়নসহ)। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির এনওসিএফপিএস হয়েছে ছয় টাকা ৪৬ পয়সা।

এর আগে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে তারা। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ছয় টাকা ৮ পয়সা; আর ২০২০ সালের ৩০ জুন তারিখে এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে ৪৪ টাকা ৬৮ পয়সা।

জ্বালানি খাতের ‘এ’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬১ কোটি ৭১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডরিন পাওয়ারের রিজার্ভে রয়েছে ৫০১ কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ১৬ কোটি ১৭ লাখ ১৩ হাজার ৩০৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৬৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে ১৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০