Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 11:56 pm

দ্বিতীয় প্রান্তিকে রবি আজিয়াটার আয় বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের কোম্পানি রবি আজিয়াটা লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ ইপিএস বেড়েছে ৭ পয়সা। আর প্রথম দুই প্রান্তিকে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময় ছিল ৫ পয়সা। ২০২৩ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ২৪ পয়সা। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৩ টাকা ৪১ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৩ পয়সা।

কোম্পানিটি ২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ছয় হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৪৬০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট ৫২৩ কোটি ৭৯ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৫ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে এক দশমিক ৬৬ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে আট দশমিক ৩৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

এদিকে সম্প্রতি আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ থেকে শেয়ারহোল্ডার ঋণ সুবিধা গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ। তথ্যমতে, শেয়ারহোল্ডার ঋণ সুবিধা গ্রহণের প্রস্তাব অনুযায়ী আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ নেবে রবি আজিয়াটা লিমিটেড। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৫৯৮ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১০৮ টাকা ৭৩ পয়সা হিসাবে)। শেয়ারহোল্ডার থেকে এই ঋণ গ্রহণ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে রবির পরিচালনা পর্ষদ। তিন বছর মেয়াদের এই ঋণ নেয়ার জন্য আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদকে নিরাপত্তা হিসেবে কোনো সম্পদও জামানত হিসেবে দেয়া লাগবে না। এ ছাড়াও এই ঋণ চুক্তির ক্ষেত্রে যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরকে (আরজেএসসি) কোনো চার্জ দিতে হবে না। মূলত রবি আজিয়াটার মূল শেয়ারহোল্ডার হচ্ছে আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ। বর্তমানে রবির প্রায় ৬২ শতাংশ রয়েছে আজিয়াটা গ্রুপের কাছে।

চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ছিল ৮ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি আয় তথা ইপিএস অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৯০ পয়সা, যা ২০২২ সালের ৩১ মার্চে ছিল ১২ টাকা ৭২ পয়সা। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময় ১ টাকা ৬১ পয়সা ছিল।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৫ পয়সা। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৮২ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ টাকা ১২ পয়সা। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ৬৪ পয়সা। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৬ টাকা ২২ পয়সা।