Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 12:40 am

দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালের

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর, ২০২৩) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ পয়সা (লোকসান), যা আগের বছর একই সময় ছিল ৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি লোকসান ৩ পয়সা বেড়েছে। অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর, ২০২৩) ইপিএস হয়েছে ১৫ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৪ পয়সা। অর্থাৎ প্রথমার্ধের হিসাবে লোকসান বেড়েছে এক পয়সা। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৪৪ পয়সা।

সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে লেনদেন হচ্ছে। ৩০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১১৯ কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার টাকা। কোম্পানিটির মোট ১১ কোটি ৯৮ লাখ ৮৪৪টি শেয়ার রয়েছে। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের কাছে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ১৮ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ বা তিন টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ২৯ টাকা ৬০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে ২ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২টি শেয়ার ১০ হাজার ৪৮৮ বার হাতবদল হয়, যার বাজারদর ৬৫ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দিনভর শেয়ারদর সর্বনিম্ন ২৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৩২ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটি শেয়ার ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৩২ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

২০২৩ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ৫ টাকা ৫৯ পয়সা। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৫৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৬ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে এক পয়সা (লোকসান)। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করেও কোম্পানিটি কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৭ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুনে শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫৩ পয়সা।