নিজস্ব প্রতিবেদক: চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের কোম্পানি ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে প্রকাশিত কোম্পানিটির অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য ওঠে এসেছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন, ২০২৪) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৬ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে ৪১ পয়সা। অন্যদিকে প্রথম দুই প্রান্তিকে বা প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন, ২০২৪) ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৭ পয়সা (লোকসান), আগের বছরের একই সময় ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা (লোকসান)। অর্থাৎ প্রথম দুই প্রান্তিকের হিসেবে শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ১৪ পয়সা। ২০২৪ সালের ৩০ জুন কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৭ টাকা ৬২ পয়সা (লোকসান)। ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে ছিল ৪৫ টাকা ৩৫ পয়সা (লোকসান)। এছাড়া প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৯ পয়সা, অথচ আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৬৮ পয়সা (ঘাটতি)।
এদিকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা করেছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ৮৫ পয়সা
(লোকসান) এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৪৫ টাকা ৩৫ পয়সা (লোকসান)। আর এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১ টাকা ৮৯ পয়সা (লোকসান)। ঘোষিত এই লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের অনুমোদনের জন্য আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বান জানিয়েছে। আর এ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ সেপ্টেম্বর।
এর আগে কোম্পানিটি সর্বশেষ ২০১৬ সালে ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল। এরপরে আর কোনো হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে পারেনি। কোম্পানিটি ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘জেড’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। ২০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১৬৪ কোটি ৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৬ কোটি ৪০ লাখ ৬৩ হাজার ৩৩০টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৩৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ৪৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ শেয়ার।
এদিকে গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারদর ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ বা ৫০ পয়সা বেড়ে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৫ টাকা ১০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে কোম্পানিটির ১১ লাখ ১৮ হাজার ৬৪৭ শেয়ার মোট ২৮৩ বার হাতবদল। যার বাজারদর ছিল ৫৭ লাখ টাকা। দিনজুড়ে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ টাকা ৭০ পয়সা থেকে ৫ টাকা ৫০ পয়সায় হাতবদল হয়। তবে গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৫ টাকা ৯০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।
ওকে-রুহুল আমিন