দ্বিতীয় প্রান্তিকে লোকসান বেড়েছে সমতা লেদারের

নিজস্ব প্রতিবেদক: চামড়া শিল্প খাতের কোম্পানি সমতা লেদার কমপ্লেক্স লিমিটেড চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। আর এ প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান বেড়েছে ২২ পয়সা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ৪ পয়সা ছিল। তবে কোম্পানিটির প্রথম দুই প্রান্তিকের (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৩) হিসাবে শেয়ারপ্রতি লোকসান ১৭ পয়সা বেড়েছে। প্রথম দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান হয়েছে ২২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ৫ পয়সা ছিল। এছাড়া ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ১১ পয়সা। আর আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৮ পয়সা (ঘাটতি), আগের বছরের একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছিল ৭ পয়সা (ঘাটতি)।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ ৩০ জুন, ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের আর্থিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের জন্য শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৩ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩৪ পয়সা। এছাড়া এই হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে ৭ পয়সা (ঘাটতি)। এর আগে ২০২২ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ পয়সা (লোকসান) এবং ৩০ জুন, ২০২২ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩২ পয়সা। আর শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থ প্রবাহ হয়েছে ৯ পয়সা। এর আগে ৩০ জুন, ২০২১ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ বিনিয়োগকারীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা এবং ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৪ টাকা ৩৯ পয়সা। তবে ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়নি। সে সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছিল ৯ পয়সা। আর ৩০ জুন, ২০২০ তারিখে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য ছিল ১৪ টাকা ৩৯ পয়সা।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত চামড়াশিল্প খাতের এ কোম্পানিটি ১৯৯৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘বি’ ক্যাটেগরিতে অবস্থান করছে। কোম্পানির ৫০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন ১০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ চার কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট এক কোটি তিন লাখ ২০ হাজার শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের হাতে ৩৩ দশমিক ৮৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ এবং বাকি ৬০ দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে।

এদিকে গতকাল ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ বা ২ টাকা ১০ পয়সা কমে প্রতিটি শেয়ার সর্বশেষ ৪৬ টাকা ২০ পয়সায় হাতবদল হয়, যার সমাপনী দরও ছিল একই। দিনজুড়ে শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪৬ টাকা ১০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৪৯ টাকা ৪০ পয়সায় হাতবদল হয়। ওইদিন ১৯ হাজার ৮০৫টি শেয়ার মোট ১৩৯ বার হাতবদল হয়। যার বাজার দর ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। আর গত এক বছরের মধ্যে কোম্পানিটির শেয়ারদর সর্বনিম্ন ৪১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ ৭৭ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করে।

বিষয় ➧

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০